কলকাতা: বাস্তু বিচার করে কিংবা ইচ্ছে মতো আমরা অনেক কিছুই বাড়িতে রাখি। বাড়িতে গণেশের (Ganesha Idol) মূর্তি রাখলে ইচ্ছাপূরণ হয় বা যেকোনও অশুভশক্তির বিনাশ হয়। এমনটা মনে করেন বহু মানুষ। সেই মতো বাড়ির নানা জায়গায় গণেশের মূর্তি রাখার প্রচলন রয়েছে। জীবন থেকে দুঃখ দুর্দশা দূর করার জন্য হোক কিংবা ভবিষ্যতের জন্য অথবা অর্থ উপার্জনের জন্য গণেশের কোন মূর্তি কোথায় রাখা দরকার, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গণেশের অনেক রকমের মূর্তি পাওয়া যায়। বাড়ি হোক কিংবা মন্দির, নানা জায়গায় আমরা নানা রকমের গণেশের মূর্তি দেখতে পাই। অনেকক্ষেত্রে বলা হয় বাড়িতে বিজোড় সংখ্যওায় গণেশের মূর্তি রাখা শুভ নয়। গণেশের মূর্তি সবসময় জোড় সংখ্যাও রাখা দরকার।
বিশ্বাস অনুযায়ী বাড়িতে গমেশের মূর্তি রাখার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু যখনই মূর্তি রাখার প্রশ্ন ওঠে, তখনই মনের মধ্যে দ্বিধা কাজ করে যে কোথায় মূর্তি রাখলে বা কোন মূর্তি রাখলে সবথেকে বেশি সুফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন - Saraswati Puja 2022: জ্ঞানের দেবী সরস্বতীকে স্মরণ করে প্রিয়জনকে পাঠান শুভেচ্ছাবার্তা
১. আকন্দ গাছের শিকর থেকে তৈরি হয় যে গণেশের মূর্তি, তা বাড়িতে রাখলে চোখের নানা সমস্যা দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
২. পারদের তৈরি গণেশের মূর্তিকে খুবই ধর্মীয় বলে মনে করা হয়। জীবনে সুখ শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে এই ধাতুর তৈরি গণেশ মূর্তি রাখা বিশ্বাস করেন বহু মানুষ।
৩. রুপোর গণেশ মূর্তি- বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়. রুপোর তৈরি গণেশ মূর্তি খুবই শুভ। ধন সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই মূর্তি বাড়িতে রাখা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
৪. চন্দন কাঠের গণেশ মূর্তি - অনেকেই চন্দন কাঠের নানা জিনিস বাড়িতে রাখতে পছন্দ করেন। ভালোবাসা, সুখ , শান্তি এবং সৌহার্দ্য বজায় রাখতে চন্দর কাঠের তৈরি গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখতে বিশ্বাস করেন।
৫. প্রবালের তৈরি গণেশ মূর্তি- বিশ্বাস করা হয় যে প্রবালের তৈরি গণেশ মূর্তি শত্র বিনাশ করতে সাহায্য করে। তাই শত্রুদের হাত থেকে নিস্তার পেতে প্রবালের তৈরি গণেশ মূর্তি বাড়িতে রাখতে পারেন।
৬. পান্নার তৈরি গণেশ মূর্তি- পান্না খুবই শুভ একটি রত্ন। এই রত্ন বহু মানুষ শরীরেও ধারণ করেন। জ্ঞানের পরিধি বিস্তার করতে এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে পান্নার তৈরি গণেশ মূর্তি রাখেন বাড়িতে।
ডিসক্লেইমার- ABPLive.com-এ এই কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় এবং বিশদে জানতে জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন ও সেই মতো চলুন।