কলকাতা: কয়লা পাচার (Coal Scam Case) কাণ্ডে ফের রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) নোটিস এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate/ED) ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশি। এর আগে কোভিড পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে সে বার জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী।


এর আগে, চলতি বছরের শুরুতেই মলয়কে নোটি ধরায় ইডি। ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই সময় ইডি-কে চিঠি দিয়ে মলয় জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে  রাজ্য থেকে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। বরং তাঁকে আরও কিছু সময় দেওয়া হোক। ইডি সূত্রে খবর , মলয়কে আর সময় দেওয়া হয়নি। ৮ ফেব্রুয়ারিই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। ইডি সূত্রে খবর, এই মামলায় অন্য সাক্ষীদের সঙ্গে মলয়ের বয়ান মিলছে না। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তাঁর নাম উঠে এসেছে একাধিক বার। তাতে বেশ কিছু নতুন প্রশ্ন উঠে এসেছে। তার জন্যই ফের মলয়কে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।


এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে তলব করা হয় মলয়কে। প্রথম দু’বার হাজিরা না দিলেও, অক্টোবর মাসে তৃতীয় বারের বার তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেন তিনি। সেখানে তাঁকে ম্যারাথন জেরা করে ইডি। কয়লা মাফিয়াদের (Coal Mafia) সম্পর্কে তাঁর কাছে কী তথ্য রয়েছে, অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মলয় যে জবাব দেন, তা রেকর্ডও করে ইডি। কিন্তু মামলায় অভিযুক্ত বাকিদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মলয়ের বয়ান মিলছে না বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের।  


আরও পড়ুন: Suri News: প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন, অতি উৎসাহীদের আচরণে অস্বস্তিতে তৃণমূল-বিজেপি


২০২০ সালে অনুপ মাজি ওরফে লালা, দুই জিএম এবং ইসিএল-এর তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে আসানসোল এবং সংলগ্ন এলাকার পরিত্যক্ত খনিগুলিতে অবৈধ খননকার্য চালানো, চুরি এবং কয়লা চোরাচালানের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তভার ওঠে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-র হাতে। দেশ জুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। লালার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রথমে লালার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুণে থেকে গ্রেফতার হন লালা। 


গত বছর এই মামলার তদন্তে যোগ দেয় ইডি-ও। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় তল্লাশি চালানো হয়। পাচারকারীদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্রের হদিশ মিলেছে বলে জানায় তারা। তাতেই জেরার জন্য ডাক পড়ে মলয়ের। এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ তথা দলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) নামও উঠে আসে। দিল্লিতে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেন অভিষেক। কিন্তু সশরীরে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেননি রুজিরা।