কলকাতা: বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে কোরিয়ান ড্রামা বা কোরিয়ান পপ স্টারের ‘ক্রেজ’ তুঙ্গে। এছাড়াও, কোরিয়ানদের সংস্কৃতির নানা দিকই চোখ টানে তরুণদের। এগুলির পাশাপাশি কোরিয়ান জীবনযাপনও (korean lifestyle habits) চোখ টানার মতোই। সম্প্রতি এক তথ্য বলছে, কোরিয়ার মানুষদের ওজন বেশ নিয়ন্ত্রণে। তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগেন খুব কম মানুষ। ঠিক কেমন ধরনের খাবার খান তারা? ওজন কবজায় রাখতে বেশিরভাগ কোরিয়ান ঘরোয়া বেশ কিছু টিপস মেনে চলেন। সেগুলি কী কী? আসুন দেখে নেওয়া যাক।


প্রচুর শাকসবজি: কোরিয়াতে মাংসের দাম অনেকটাই বেশি। ফলে সাধারণ কোরিয়ানরা চাইলেই মাংস খেতে পারেন না। বরং রোজকার খাবারের তালিকায় সবজিই বেশি পরিমাণে থাকে।


প্রচুর ফার্মেন্টেড খাবার: ফার্মেন্টেড অর্থাৎ গেঁজিয়ে নেওয়া সবজি কোরিয়াতে বেশ বিখ্যাত। ফার্মেন্টেড বাঁধাকপির পদ কিমচির (kimchi) খ্যাতি সারা বিশ্বেই রয়েছে। শুধু কিমচি পদটিই ২০০-এর বেশি কায়দায় রাঁধা যায়। এবং এই বিভিন্ন ধরনের পদ বেশ জনপ্রিয় কোরিয়া জুড়ে। ফার্মেন্টেড খাবার পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হজম প্রক্রিয়াও চাঙ্গা রাখে এটি। 


সামুদ্রিক খাবার: কোরিয়ার তিনদিকেই সমুদ্র। তাই অধিকাংশ সময়েই সামুদ্রিক খাবারে ভরসা করেন কোরিয়ানরা। মাছজাতীয় খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। থাকলেই তা হার্ট ও বিভিন্ন অঙ্গের জন্য উপকারী।


সীমিত ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড: ফাস্ট ফুডের আউটলেট যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও রোজকার খাওয়ার চলের মধ্যে এগুলি থাকে না। এছাড়াও, প্রসেসড ফুডের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ে থাকে কোরিয়ান সংস্কৃতির নিজস্ব খাবার। প্রসেসড ফুডের মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে কিমচি, অন্যদিকে রয়েছে ডোয়েনজ্যাঙ সোয়াবিন পেস্ট, ঘচুজ্যাঙ সোয়াবিন পেস্ট ইত্য়াদি।


অল্প করে খাওয়া: কোরিয়ার ফাস্টফুডের সার্ভিং সাইজ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছোট বা কম হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশে বার্গার বা পিজ্জার যা আকার হয়, কোরিয়াতে তার থেকে ছোট আকারের করা হয়। এছাড়াও, কোলা বা ঠান্ডা পানীয়ের ক্যানের আকারও তুলনামূলকভাবে ছোট হয়।


কোরিয়ার সকালের বিখ্যাত জলখাবার: কোরিয়ার বেশিরভাগ এলাকাতেই সকালের দিকে একটি হালকা জলখাবার বিশেষ পরিচিত। বেশিরভাগ সময়েই  সকালে জলখাবারের পাতে থাকে ভাত, তার সঙ্গে ডিম, স্যুপ ও আগের দিন যদি কিমচি অবশিষ্ট থাকে, সেটি। 


আরও পড়ুন: Obesity: কতক্ষণ ধরে কেমন ব্যায়াম করলে বেশি ফিট থাকে শরীর ?