আজকাল জীবনযাত্রা ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে। যা শরীরের উপর প্রভাব ফেলছে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, ঘুম ও জাগার প্যার্টানে ব্যাঘাত এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কারণগুলির ফলে লিভারের ক্ষতির ঝুঁকিও বেড়ে যায়। প্রতিদিনই লিভারের ক্ষতির ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি লিভারের এই লক্ষণগুলি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায়, তাহলে এই বিপজ্জনক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং লিভারকে বাঁচানো সম্ভব। লিভারের ক্ষতির কিছু লক্ষণ রাতে দেখা দেয় এবং এগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়।
ফ্যাটি লিভার কত ধরনের হয় ?
ফ্যাটি লিভার রোগ সাধারণত অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবের কারণে হয়। ফ্যাটি লিভার রোগ দুই ধরনের হয়। প্রথমত- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (AFLD) এবং দ্বিতীয়ত- নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)।
১. পেটে ব্যথা-
লিভারের ক্ষতির ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে। লিভারের ক্ষতির ফলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়। এর ফলে এটি বড় হয়ে যায়। লিভারের উপর চাপ বাড়ায়, যার ফলে তীব্র ব্যথা হয়।
২. ত্বকে চুলকানি-
লিভারের যে কোনও সমস্যার কারণে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। যদি আপনার ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়, বিশেষ করে রাতে, তাহলে এগুলি উপেক্ষা করবেন না। কারণ সমস্যাটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
৩. মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব-
বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরাও লিভারের ক্ষতির একটি প্রধান লক্ষণ। যদি এই সমস্যাগুলি রাতে চলতে থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসা বিলম্বিত করা বিপজ্জনক হতে পারে এবং আপনার লিভার এবং আপনার স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন-
প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন লিভারের ক্ষতির লক্ষণ। যখন লিভারের ক্ষতি হয়, তখন শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে প্রস্রাব গাঢ় হলুদ রং ধারণ করে। যদি এমনটা ঘটে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৫. ফোলাভাব-
যদি রাতে আপনার পায়ের নীচের অংশে ফোলাভাব দেখা দেয়, তাহলে আপনার সতর্ক থাকা উচিত। অতিরিক্ত ফোলাভাব এবং ব্যথা লিভারের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই অবস্থা উপেক্ষা করা উচিত নয় এবং দ্রুত এর মূল্যায়ন করা উচিত।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।