কলকাতা: পৌষ সংক্রান্তি দেখতে দেখতে চলেই এল। আর সংক্রান্তি মানেই পিঠে, পুলি নিয়ে এক হইচই ব্যাপার। কিন্তু ডায়াবিটিস বা সুগারের সমস্যা থাকলে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে মিষ্টি পদই তাদের খাওয়া বারণ। সুগার রোগীদের কথা ভেবেই থাকল নলেন গুড়ের একটি বিশেষ পদের রেসিপির খোঁজ। পদটি হল নলেন গুড়ের ফিগ অ্যান্ড অ্যাভোকাডো টার্ট। নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান পদ্মজা নন্দীর পরামর্শ, এই পদটি ডায়াবিটিস রোগীরা খেয়ে দেখতে পারেন পৌষের শেষ দিনে!


নলেন গুড়ের ফিগ অ্যান্ড অ্যাভোকাডো টার্ট বানাবেন কীভাবে? কী কী লাগবে এর জন্য? এর বিস্তারিত খোঁজ দিলেন ডেসটিনেশন 16-এর শেফ অভীক নন্দী


কী কী লাগবে?


৫০ গ্রাম মকাই আটা, আধ টেবিল চামচ নুন, ১০ এমএল অলিভ তেল, ২৫ এমএল জল, আধ টুকরো অ্যাভোকাডো, ৫০ গ্রাম ডুমুর, ৩০ গ্রাম নলেন গুড়,  আধ টেবিল চামচ দারচিনি পাউডার, আধ টেবিল চামচ তারা মৌরি (স্টার অ্যানাইজ়), ৩০ গ্রাম নুন, নলেন গুড় এসেন্স, এক ছোটবাটি  পেস্তা ও আমন্ড।


কীভাবে বানাবেন?



  • প্রথমে মকাই আটা, আধ টেবিল চামচ নুন, অলিভ তেল ও জল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একটি ডো করে নিতে হবে। 

  • এবার অ্যাভোকাডো, ডুমুর, নলেন গুড়, ৩০ গ্রাম নুন, তারা মৌরি ও দারচিনি পাউডার একটি আলাদা পাত্রে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে স্টাফিং তৈরি করতে হবে।

  • এর মধ্যে এবার নলেন গুড়ের এসেন্স দিয়ে দিন।

  • এবার ভাল করে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না পুরোটা সমানভাব মিশে যাচ্ছে।

  • এবার টার্ট শেপের মধ্যে এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন।

  • এবার ১০মিনিটের জন্য প্রথমে ওভেন প্রিহিট করে নিন। এর পর ওভেনের টেম্পারেচার ৩৫০ ডিগ্রিতে কমিয়ে নিন।

  • এই তাপেই মিশ্রণটি বেক করতে হবে। যতক্ষণ না গোল্ডেন ব্রাউন হচ্ছে ততক্ষণ বেক করে নিন। 

  • বেক হয়ে গেলে উপর দিয়ে নলেন গুড় দিন প্রথমে। তার উপর আমন্ড ও পেস্তা দিয়ে গার্নিশ করে দিলেই তৈরি নলেন গুড়ের ফিগ অ্যান্ড অ্যাভোকাডো টার্ট। 


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাবারের ক্যালোরির পরিমাণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই রেঁস্তরার তরফে জানানো হয়েছে এই পদের একটি টার্টে ক্যালোরির পরিমাণ আনুমানিক ৩০০ ক্যালোরি। এছাড়া, সুগার অনিয়ন্ত্রিত হলে ডায়েটিশিয়ান পদ্মজা একটি বিষয়ে সতর্ক হতে পরামর্শ দিলেন। তা হল পদটি বানানোর সময় গুড়ের পরিমাণ এখানে নির্ধারিত পরিমাণের থেকে কমাতে হবে। 


তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই এ পদ খাওয়ার আগে নিজ নিজ ডায়েট মেনে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।


আরও পড়ুন: Red Ant Chutney GI tag: লাল পিঁপড়েতে এমন কী জাদু ? কেনই বা এর চাটনি জিআই ট্যাগ পেল? খেতে হলে কীভাবেই বা রাঁধবেন