নয়াদিল্লি: ঋতুচক্র চলাকালীন স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা মৌলিক অধিকার। এমনটাই বলছে রাষ্ট্রসংঘ। আজ ২৮ মে ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্যবিধি দিবস। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে বহু মহিলা বা মেয়েরা এই স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছেন না বলে খবর উঠে এসেছে। মূলত সমস্যায় পড়েছেন প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার অনেক কিছুই মহামারীর জেরে পাচ্ছেন না তাঁরা।


ঋতুচক্র বা ঋতুস্রাবকে হাতিয়ার করে এখনও মহিলারা বৈষম্যের শিকার হন। এমন মেয়েরা কলঙ্কিত এই ধ্যান ধারনায় রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে। চলতি বছর ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্যবিধি দিবস বা মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে-র থিম ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা। কেন এই দিনে ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্যবিধি দিবস পালন করা হয়? কারণ, ঋতুচক্র প্রতি ২৮ দিনে হয়। গড়ে ৫ দিন চলে ঋতুচক্র। তাই মে মাসের ২৮ তম দিনে এই বিশেষ দিন পালন করা হয়।


রাষ্ট্রসংঘ বলছে, ঋতুচক্র বিষয়টি নিয়ে অনেকই কোনও খেয়াল রাখেন না। কিন্তু অন্যান্য এটা অত্যন্ত সাধারণ একটা চক্র। প্রজনন চক্রের এই সর্বাধিক প্রাকৃতিক ব্যবহার অপব্যবহারও হয়। যেমন বাল্য বিবাহ, যৌন হেনস্থা করার মতো ঘটনাও ঘটে। বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত ধারণাও আছে। যেমন যাঁর ঋতুস্রাব চলছে তাঁকে আলাদা ঘরে রাখা। ঋতুচক্র চলাকালীন অনেকেই স্কুলে যায় না। বর্তমানে একাধিক উদবাস্তু ক্যাম্পে মানা সম্ভব হচ্ছে না প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি।


পশ্চিম মধ্য আফ্রিকায় ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ড এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস চিলন্ড্রেন্স ফান্ড রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সভার আয়োজন করে। ২৪ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত এই ভার্চুয়ালি এই সভা হয়।  উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, নামিবিয়ার মতো দেশ স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে দিচ্ছে অথবা কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই পথ দেখিয়েছিল স্কটল্যান্ড। বিনামূল্যে ঋতুস্রাব চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানতে যা যা প্রয়োজন তা বিনামূল্যে দিচ্ছে। ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ড বলছে, ভয় বা লজ্জা অনুভব না করে সমাজের এই মনোভাবকে দূর করতে হবে। মর্যাদার সঙ্গে ঋতুচক্র মানবাধিকার।  যা নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করছে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ড।