Polycystic ovarian syndrome : পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম  বা পিসিওএস, এই অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম-এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও অজানা । মনে করা হয়,  এন্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই এর মূল কারণ । অতিরিক্ত ওজন ? পরিবারে আরও কারও এই সমস্যা রয়েছে?

  


PCOS  ইদানীং কালের বেশ কমন সমস্যা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের কারণও বটে !  আয়ুর্বেদ ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডা. ভাবনা দিয়োরা মনে করেন, PCOS কোনও রোগ নয় বরং একটি সিনড্রোম যা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা অনুসারে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হয়। 


PCOS এর লক্ষণগুলো কি কি?



  • পিরিয়ডে অনিয়ম

  • ওজন বৃদ্ধি

  • মুখের অতিরিক্ত রোম

  • মুখ অতিরিক্ত ব্রণ

  • ওজন বৃদ্ধি

  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা PCOS এর উপসর্গ হতে পারে। 


কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে?

স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য খাওয়া। নিয়মিত ব্যায়াম। ভাল জীবনশৈলির মাধ্যমে  PCOS-এর সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এতে রোগ সারে না ঠিকই কিন্তু সমস্যার প্রকোপটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। PCOS নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী করবেন - 


সুষম খাদ্য:  সুষম খাদ্য খান।  PCOS সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া। খাবারে চিনি খাওয়া যতটা সম্ভব কমাতে হবে। যে সব খাবারে প্রিজারবেটিভস রয়েছে, তা বাদ দিতে হবে। শাক-সবজি, বাড়িতে রান্না করা খাবার, খেতে হবে।  বেশিদিন ফ্রিজে রাখা খাবার খাবেন না।  ডায়েটে থাকুক, নানা রকমের দানা জাতীয় শস্য, ডিম, কুমড়ো এবং সূর্যমুখী বীজের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তার পাশাপাশি,  ডায়েটে থাকুক, ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য। ময়দার বদলে খেতে পারেন মাল্টিগ্রেন আটা। 


অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবারের পরিমাণ বাড়ান: PCOS-এর সমস্যায় প্রদাহ খুবই সাধারণ সমস্যা। তাই  অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার  যেমন,  সবুজ শাক সবজি, পালং শাক, বিভিন্ন ফল খেলে ভাল হয়। বাদাম, আখরোট থাকুক ডায়েটে। স্যামন, ম্যাকেরেল, টুনা এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ খান। ফল যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, চেরি , কমলালেবু খান। 


ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান : ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যা PCOS-এর জন্য খুবই ভাল। এর মধ্যে রয়েছে বাদাম, কাজু, পালং শাক এবং কলা। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।  


ক্যাফেইন এড়িয়ে যান : বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই কফি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন । কারণ ক্যাফেইন গ্রহণ করলে হরমোনের আচরণ এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা পরিবর্তন হতে পারে। ভেষজ চা এবং গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।

PCOS একজনের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাই প্রয়োজনে মনোবিদেরও পরামর্শ নিতে হতে পারে।