কলকাতা: সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ফল খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও রকম মরসুমি ফলই স্বাস্থ্যের জন্য় উপকারী। তবুও একাধিক ফলের তালিকা থেকে এমন কয়েকটা বেছে নেওয়া যায়, যেগুলি রাখতেই হবে পাতে। সেই ফলগুলির মধ্যে অন্যতম ডালিম (pomegranates) বা বেদানা। প্রদাহ যদি বাড়াবাড়ি রকমের হয় তাহলে তা রোগ ডেকে আনতে পারে। শরীরে অভ্যন্তরীণ কোনও অঙ্গে প্রদাহের কারণে শারীরবৃত্তীয় কোনও কাজের সময় সমস্যা দেখা যায়। সেটা ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে বিপদ বাড়তে পারে।
একাধিক পুষ্টিপদার্থে ঠাসা এই ফল। শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই উপকারী। হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য় জরুরি ডালিম-বেদানা (pomegranates Benefits)। কেন এত প্রয়োজনীয়?
আরও পড়ুন...
পুষ্টি পদার্থে ঠাসা:
ডালিমের শাঁস ও বীজ (pomegranates seeds) দুটিই পুষ্টিকর। ক্যালোরির মাত্রা যথেষ্ট কম থাকে। ফাইবার, ভিটামিন (Vitamins) এবং খনিজের (Minerals) মাত্রা অনেকটাই বেশি ডালিমে। এছাড়াও, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ফলেটের (Folate) মতো জরুরি পোষকপদার্থের ভাল উৎস এই ফল।
অ্যান্টিঅক্সিড্যন্টের উৎস;
শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভাল রাখতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (Anti Oxidants) প্রয়োজন। কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, কোষের দ্রুত ক্ষয় ঠেকাতে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ডালিমে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পলিফেনিক ( polyphenolic compounds) যৌগ রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্য়ন্ত প্রয়োজন।
দূরে রাখে প্রদাহ:
প্রদাহ বা inflammation- যদি বাড়াবাড়ি রকমের হয় তাহলে তা রোগ ডেকে আনতে পারে। শরীরে অভ্যন্তরীণ কোনও অঙ্গে প্রদাহের কারণে শারীরবৃত্তীয় কোনও কাজের সময় সমস্যা দেখা যায়। সেটা ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে বিপদ বাড়তে পারে। ডালিমের পুষ্টিগুণ প্রদাহবিরোধী। কিছু কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডালিমের রসও একই কাজ করে থাকে।
আরও পড়ুন...
Benefit of Zinc: প্রতিদিনের খাবারে জিঙ্ক বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা! কখন কী খাবেন?
হৃদযন্ত্রের জন্য় ভাল:
যেসব ফল বা আনাজে পলিফেনিক যৌগ থাকে তা হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল হয়। ডালিম বা বেদানায় ভরপুর পলিফেনিক যৌগ মেলে। হৃদযন্ত্র এবং ধমনীর প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়। রক্তবাহী ধমনীতে স্নেহ পদার্থ জমতেও (Atherosclerosis) বাধা দেয়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন