Sleeping Problems: সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম (Sufficient Sleep) হওয়া প্রয়োজন। আর সেই ঘুম রাতে হওয়াই দরকার। কারণ রাতে ঘুম দিনে ঘুমিয়ে লাভ হয় না। ঘুমের সমস্যা হলে অর্থাৎ নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। টানা অনেকদিন রাতে ঠিকভাবে ঘুম না (Sleeping Disorder) হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে, এমনটাই বলেন চিকিৎসকরা। আর এই পরিমাণ ঘুম না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একদিন, দু'দিন ঘুম না হলেই আপনার শরীর জানান (Sleep Deprivation) দেবে যে সবকিছু ঠিক নেই। অনেকেরই বিভিন্ন কারণে রাত জাগার অভ্যাস রয়েছে। কেউ রাতে কাজকর্ম করেন। কেউ বা পড়াশোনা করেন। দীর্ঘদিন ধরে রাত জাগার অভ্যাস থাকলে আপনার রাতের স্লিপ সাইকেল ঠিক থাকবে না। ফলে সমস্যা দেখা যাবে। আপনার যে সঠিক পরিমাণে ঘুম হচ্ছে না এবং সেই কারণেই শরীর খারাপ হচ্ছে সেটা বুঝবেন কীভাবে? বেশ কয়েকটি লক্ষণ থেকে এই সমস্যা চেনা এবং বোঝা যায়। সেগুলো কী কী, জেনে নেওয়া যাক।



  • ঘুম ঠিকঠাক না হলে শরীরের পাশাপাশি আপনার মন-মেজাজও ভাল থাকবে না। অকারণ খিটখিট করবেন আপনি। অল্পেই রেগে যাবেন আপনি। কোনও কাজে মনঃসংযোগ করতে পারবেন না। তাই সবকিছুর মধ্যেই ঘুমের সময় আপনাকে খুঁজে নিতেই হবে এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

  • রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হলে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরের দিন সকাল থেকে মাথা ভার হয়ে রয়েছে কিংবা মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। সাময়িক আরামের জন্য হয়তো আপনি ওষুধ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু সেটা সমাধান নয়। ঠিকভাবে ঘুমোতে পারলে এই মাথা যন্ত্রণার সমস্যা হবে না।

  • প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি অ্যাসিডিটি, গ্যাস এইসব সমস্যা বাড়তে পারে। রাতে তাই পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়।

  • অনেকেই অফিসের কাজ বিশেষ করে শিফটিং ডিউটির কারণে ঠিকভাবে ঘুমোতে পারেন না। স্লিপ সাইকেলের কোনও ঠিক থাকে না। একদিন ১০ ঘণ্টা ঘুমোতে পারছেন তো একদিন ৪ ঘণ্টা। এরকম থাকলে নিজেকেই সারাদিনের রুটিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। যাতে কাজের মধ্যেও সঠিক পরিমাণ বিশ্রামের সুযোগ পান আপনি।

  • রাতে ঠিকভাবে ঘুমোতে না পারলে দিনের বেলা প্রায় সারাক্ষণই ঘুম পাবে আপনার। কাজের ফাঁকে অজান্তেই হয়তো চোখ লেগে যাবে। এর ফলে কাজে ভুল হয়ে যেতে পারে। তাই রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন।

  • রাতে যদি সঠিক পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে সারাদিন কাজে এয়ার্জি পাবেন না আপনি। সারাদিনই একটা ক্লান্ত, অবসন্ন ভাব থাকবে। ঝিমিয়ে থাকবেন আপনি। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন।


আরও পড়ুন- কীভাবে বুঝবেন আপনার স্ট্রেসের পারদ ক্রমশ চড়ছে? সময় থাকতেই প্রয়োজন সতর্কতা