Radish Health Benefits: গন্ধের জন্য অনেকেই মুলো খেতে পছন্দ করেন না। আর মুলো খেলে গ্যাসের সমস্যাও দেখা দেয় মারাত্মক ভাবে। তবে শীতের মরশুমে তরকারি কিংবা ডালে মুলো দিলে, খেতে কিন্তু বেশ স্বাদ হয়। এছাড়াও মাটির নীচে হওয়া এই সবজির রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শীতকালে কেন মুলো খাবেন, কীভাবে খেলে গ্যাস হবে না এবং খেলে শরীর-স্বাস্থ্যের কীভাবে উপকার হবে, দেখে নিন একনজরে। 

মুলো কীভাবে খেলে আপনার আর গ্যাসের সমস্যা হবে না 

শীতকালে অনেক বাড়িতেই মুলো দিয়ে মটর ডাল খাওয়ার চল রয়েছে। এছাড়াও মুলো ছেঁচকি কিংবা পাঁচমিশালি তরকারিতে মুলোর ব্যবহার খুবই পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে শীতের জনপ্রিয় খাবার মুলোর পরোটা। অবাঙালি খাবার হলেও, এর চল এখনও বাঙালি বাড়িতেও দেখা যায়। যেকোন রান্নায় মুলো ব্যবহার করার আগে গরম জলে সেদ্ধ করে জল ফেলে নিন। তাহলেই আর গ্যাসের সমস্যা হবে না। প্রথমে টুকরো করে কেটে নিন মুলো। তারপর সেগুলো ফেলে দিন ফুটন্ত জলে। কিছুক্ষণ রেখে মুলোগুলো তুলে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তারপর রান্না করুন। আর গ্যাসের সমস্যায় কষ্ট পাবেন না। 

এবার দেখে নেওয়া যাক মুলো খেলে কী কী উপকার হবে আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের 

  • আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে মুলো। শীতের মরশুমে এমনিতেই কমে ইমিউনিটি। তার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ, ইনফেকশন বাড়ে। সহজে অসুস্থ হয়ে যাই আমরা। এইসব সমস্যা এড়াতে চাইলে শীতকালে মাঝে মাঝে মুলো খাওয়া উচিৎ। 
  • বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে মুলো। তাই খেতে পারেন এই সবজি। এক্ষেত্রে স্যালাডে আপনি কাঁচা মুলো খেতে পারেন। গ্যাসের সমস্যা হতে পারে ভয় থাকলে হাল্কা সেদ্ধ করে নিন মুলো। কচি ধরনের মুলো স্যালাডে খাওয়া ভাল। সহজে হজম হবে। 
  • ভিটামিন সি রয়েছে মুলোর মধ্যে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। তাই ইমিউনিটি বাড়ে এবং হজমশক্তি ভাল হয়। 
  • পটাশিয়াম রয়েছে মুলোর মধ্যে। তাই এই সবজি খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য। হার্ট ভাল থাকলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমবে। 
  • শীতের মরশুমে শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে বজায় রাখতে সাহায্য করে মুলো। তাই খেতে পারেন এই সবজি। 

আরও পড়ুন- কফি কাপে তৃপ্তির চুমুক, অজান্তেই কী কী বিপদ ডাকছেন? 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।