কলকাতা: সকালের জলখাবারে পরোটা খেতে বসেছেন। অথচ চেবাতে গিয়ে কিচকিচ করে উঠল যেন। ভেস্তে গেল সকালের খাওয়াটা। মুখ ব্যাদান করলেন। কারণ আটার মধ্যে বালি না থাকলে এমন কিচকিচ লাগে না। অর্থাৎ, যে আটা কিনেছেন তার মধ্যে বালি রয়েছে। ভেজাল আটা। শুধু বালি নয়, আরও অনেক কিছু মিশিয়েই আটার ভেজাল বাড়ানো হয়। এর মধ্যে চক পাউডার, বালি, ধুলো, ময়দা মেশানো হয়। এমনকি তুষের গুঁড়ো ও কর্নফ্লাওয়ার বা অ্যারারুট পাউডার মেশানো হয়ে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সায়েন্স আটার ভেজাল নিয়ে একটি গবেষণা করে। তাতে ১৫১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্য়ে ৫৭ শতাংশ নমুনায় ভেজাল পাওয়া যায়।


আটার ভেজাল পরীক্ষা 


তুষের গুঁড়োর পরীক্ষা - একটি পাত্রে কিছুটা জল নিন। এর মধ্যে এক চামচ আটা মেশাতে হবে। আটা একেবারে খাঁটি হলে জলের উপর কিছু ভেসে উঠবে না। আটাতে ভেজাল থাকলে তা হবে না। তুষের গুঁড়ো জলে মেশে না। সেটিই ভেসে উঠবে জলের উপর।


হাতে ঘষে পরীক্ষা - হাতে কিছুটা আটা নিয়ে ঘষে দেখুন। খাঁটি আটা হলে হাতের উপর কোনও দাগ থাকবে না। ভেজাল আটা হলে হাতের উপর সাদা দাগ থাকবে। আটার মধ্যে চক পাউডার থাকলে সেটি হাতে লেগে থাকে। অন্যদিকে আটা উঠে বেরিয়ে যায়।


স্বাদের পরীক্ষা - আটা কাঁচা অবস্থায় খুব সামান্য মুখে নিয়ে দেখুন। খাঁটি আটার স্বাদ কখনও তেতো হয় না। কিন্তু ভেজাল থাকলে আটার স্বাদ তেতো হবে।


লেবুর রস দিয়ে পরীক্ষা -  আটার মধ্যে অনেক সময় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট মেশানো হয়ে থাকে। এক চামচ আটা প্রথমে একটি পাত্রে নিন। এবার এর মধ্যে লেবুর রস কয়েক ফোঁটা দিতে হবে। লেবুর রসের বদলে ভিনিগার দিয়েও এই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আটার মধ্যে লেবুর রস দিলে যদি বুদবুদ ওঠে, তবে ওতে ক্যালসিয়াম কার্বনেট রয়েছে। আর যদি তা না ওঠে, তবে আটা খাঁটি রয়েছে।


হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা - হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে একই ভাবে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। ঘরোয়া কাজে আমরা যে মিউরিয়েটিক অ্যাসিড ব্যবহার করি, তার সাহায্যেই এটি সম্ভব। একইভাবে আটার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ঢেলে কোনও বদল আসছে কি না দেখতে হবে। না এলে আটা খাঁটি।


আরও পড়ুন - Real or Fake Vegetables: টাটকা সবজি ভেবে দেদার ঠকলেন? ভেজাল রং চিনবেন কীভাবে ?