কলকাতা:  এপ্রিল, মে ও জুন মাস জুড়ে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ হতে পারে।  এমনটা আগেই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকে। এবার সেই সঙ্গেই জুড়ল আরেকটি সতর্কবার্তা। গবেষকদের তরফে এল সেই বার্তা। রাস্তার উপর বা মাঠেঘাটে যারা রোদে তেতে পুড়ে নিত্য দিন কাজ করছেন, তাদের সতর্ক করল আবহাওয়া গবেষকরা। এই তিন মাস তাদের রোদের মধ্যে বেরোতে নিষেধ করা হল বিজ্ঞপ্তিতে। প্রচন্ড তাপপ্রবাহের জেরে হিট স্ট্রোক থেকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তাঁরা। সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা। 


কী বলেছিল আবহাওয়া দফতর ?


সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। তাতে বলা হয়, আগামী তিন মাস অর্থাৎ এপ্রিল, মে ও জুন মাসে পারদ চড়বে অনেকটাই। ভারতের অধিকাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সঙ্গে এও বলা হয়, তাপ প্রবাহের মধ্য ও পশ্চিম ভারত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। 


কী পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা?


গবেষকদের কথায়, এমন চড়া রোদে কোনওমতেই বেরোনো যাবে না। রোদের মধ্যে বাইরে বেরোনো আটকাতে বেশ কয়েকটি উপায় বাতলে দিচ্ছেন গবেষকেরাই‌। বলা হচ্ছে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্ক আওয়ারের কথা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কাজের সময় বেঁধে না দিয়ে চড়া রোদের সময়টুকু এড়িয়ে চলতে হবে। তার আগে ও  পরে কাজের জন্য সময় দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রোদের সময়টুকু ছাদের নিচে থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা‌


ড্রাই হিট বনাম হিউমিড হিট


আরেকটি গান্ধীনগরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর সায়েন্সের বিক্রম সারাভাই চেয়ার  অধ্যাপক সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে বলেন, ড্রাই হিড অর্থাৎ শুষ্ক তাপে শরীর অতটা কাহিল হয়ে পড়ে না কারণ এই সময় শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। আমরা আবার জল খেয়ে শরীর সুস্থ রাখি। কিন্তু হিউমিড হিট অর্থাৎ আর্দ্রতাযুক্ত তাপ প্রবাহ হলে শরীর বেশি খারাপ হয়। কারণ এই সময় শরীর বেশি গরম হয়। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে আমাদের শরীর ঘাম বার করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত গরম থেকে হিট স্ট্রোক, হিট এডেমার মতো রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন -Health Research: ৬ ঘন্টার কাজ হবে ৩০ মিনিটে ! বড় রোগ চিনতে নয়া সেনসর