সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আর মাত্র ৭ দিন পর বাগদেবীর আরাধনায় মাতবে রাজ্যবাসী। কিন্তু করোনাকালে চেনা ছবিতে অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা হলেও ভাটার টান। থিমের তেমন বহর নেই, ছোট মূর্তির চাহিদা বেশি কুমোর পাড়ায়, বলছেন শিল্পীরা।
গতবছর সরস্বতী পুজোর পরই করোনা পরিস্থিতি, তারপর লকডাউন, মহামারীর কোপ, প্রভাব থাকছে, সেই পরিস্থিতিতে পুজো হবে ৷ মিঠে কড়া রোদ্দুর, হালকা শীত... বাতাসে পুজোর গন্ধ! ক্যালেন্ডার তো বলছে হাতে আর মাত্র ৭ দিন৷ কিন্তু অন্যান্যবারের থেকে কুমোরপাড়ার এবারের ছবিটা একটু আলাদা।
সামনে সরস্বতী পুজো, ব্যস্ততা তো আছেই। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই সাবধানী শিল্পীরা। মূর্তি তৈরি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বেশিরভাগই বহরে ছোট। বড় প্রতিমার অর্ডার যেমন আসেনি, তেমনই নিজেরা আগেভাগে বড় মূর্তি তৈরি করে ক্ষতির বোঝা কাঁধে চাপাতে চাইছেন না শিল্পীরা। এদিকে ছোট করে হলেও দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর সরস্বতী পুজোতেও বাদ যাচ্ছে না করোনার থিম।
কুমোর পাড়াতেই দেখা মিলল সেই মূর্তির। এক শিল্পীর কথায়, কয়েকটা বাচ্চা ছেলে এসে বলল এরকম করে দিতে, তাই এমন মূর্তি। তিনিও জানালেন, এবার ছোট মূর্তি করা হচ্ছে, করোনার প্রভাব পড়েছে বাজারে৷
অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তারাই জানাচ্ছেন, পুজো ছোটো করে হচ্ছে, থিম হচ্ছে না৷ করোনার সঙ্কটকালে কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নামতে হয়েছে কুমোরটুলির শিল্পীদের। সেই ফাঁড়া কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জীবন এই বা কম কী? বলছেন শিল্পীরাই।
মূর্তি তৈরির সবচেয়ে বেশি বরাত আসে স্কুল কলেজ থেকে। লকডাউনের পর আনলক পর্বে এখনও খোলেনি স্কুল। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলে যাবে আগামী ১২ তারিখ। কোভিড বিধি মেনে স্কুলগুলি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোও করতে পারবে। ফলে বাড়তে পারে মূর্তির চাহিদা। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পীরা৷