গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ভারতে ক্ষণিকের অতিথি শীতকে সবাই আদর যত্ন করে। কিন্তু হঠাৎ করে তাপমাত্রার পরিবর্তনে অনেকরকম অসুখ বিসুখও হয় এসময়। বিশেষত যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের তো শীতের শুরুতে নানারকম অসুখ-বিসুখ অ্যালার্জি লেগেই থাকে। তবে কিছু খাবার-দাবার সারাদিনের ডায়েটে থাকলে আপনি এই সব সমস্যা এড়াতে পারবেন। 



  • এক কাপ চা : শ্যামোমাইল, পেপারমিন্ট বা গ্রিন টি-এর মতো অর্গ্যানিক চা এই শীতে এনার্জি বুস্ট করে রাতারাতি।  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে  অব্যর্থ এইসব চা। সেই সঙ্গে  সামগ্রিক ফিটনেস বৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করে চা।  চায়ের সঙ্গে লবঙ্গে, লেবু বা আদা দিলে  স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা বাড়াতে পারে।

  • রসুনের গুণাগুণ : রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।  রসুন শরীরকে উষ্ণ করে। শীতকালীন অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখে। রসুন ব্যবহার করা যেতে পারে স্যুপ, স্টু, ভাজা শাকসবজিতে। এমনকি স্যালাডে ড্রেসিং বা ডিপেরমধ্যে কাঁচা রসুন ব্যবহার করুন। 

  • হলুদের কামাল : শরীরের প্রদাহ কমাতে হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যার শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনি হলুদকে তরকারি, স্মুদিতে যোগ করে বা এমনকি হলুদের ল্যাটে তৈরি করে খেতে পারেন।

  • আদার সুরক্ষা :  আদা রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। শরীরে বিভিন্নরকম প্রদাহ রুখতে ও শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কাজ করে আদা।  যেমন সর্দি-কাশি এবং ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। আপনি আদা চায়ের জন্য উষ্ণ জলে আদা দিয়ে খেতে পারেন।  স্যুপ এবং স্টুতে আদা খেতে পারেন।

  • দারুচিনি : রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে দারুচিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা শীতকালীন অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। হট চকোলেট বা চায়ের মতো উষ্ণ পানীয়তে যোগ করে খেতে পারেন দারচিনি।  ওটমিল বা দইয়ের উপর ছিটিয়ে দিতে পারেন দারচিনি গুঁড়ো।

  •  স্কোয়াশ: স্কোয়াশ, কুমড়া ও বাটারনাট স্কোয়াশ খেতে পারেন। ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। স্কোয়াশ রোস্ট করে, স্যুপ বা স্টুতে ব্যবহার করতে পারেন। 

  • শীতের রঙিন ফল ও সব্জি : কমলালেবু, মুসাম্বির মতো রসালো ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতের সর্দি এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । এছাড়া হাইড্রেশন এবং ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এছাড়া বীট, গাজর, রঙিন সবজি থাকুক আপনার প্ল্যাটারে। 


তবে আপনার ডায়েটে কোনওরকম পরিবর্তন আনার আগে পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না, বিশেষ করে যদি আপনার কোনও  স্বাস্থ্যসমস্যা থাকে।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।