কলকাতা: প্রাণ বাঁচাতে, সুস্থ রাখতে যেমন ভরসা খাবার। তেমনই এই খাবার থেকে আঘাত হানতে পারে প্রাণঘাতী রোগ, যদি খাবার সংক্রমিত হয়ে থাকে। খাবারের গুণমান নিয়ে সচেতন থাকার বার্তা দিতে প্রতিবছর ৭ জুন পালিত হয় World Food Safety Day. 


খাবারের গুণমানের বিষয়টি জটিল। নানা ভাবে তার পরীক্ষা করা যায়। তবে সবার আগে বাড়িতেই সাবধানতা অবলম্বন করা যায়। ছোট ছোট পদক্ষেপ মেনে চললেই এড়ানো যাবে বড় বিপদ। খাবার যদি অপরিচ্ছন্ন হয়, জীবাণু সংক্রমিত হয় তাহলে তা থেকে প্রাণঘাতী নানা রোগ হতে পারে। টাইফয়েড, কলেরার মতো ছোঁয়াচে রোগ সংক্রমণ হতে পারে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী সংক্রমিত হয়েছে এমন খাবার থেকেই আসতে পারে বিপদ।


আরও পড়ুন...


'নিরাপদ' খাবারেই লুকিয়ে থাকে স্বাস্থ্য, কেন পালন হয় এই দিনটি?


কী কী পদক্ষেপ?


পরিচ্ছন্নতায় জোর:
রান্না করার আগে, খাবার ধরার আগে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। যাতে খাবার সংক্রমণ না হয়। রান্না করার জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিয়মিত সাফসুতরো রাখতে হবে।


রান্নার তাপমাত্রা:
ঠিকমতো তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। অল্প আঁচে কোনওমতে রান্না করলে হবে না। যথেষ্ট সময় দিয়ে ঠিকমতো সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।  


খাবার রক্ষণাবেক্ষণ:
যে জায়গায় খাবার রাখা হচ্ছে সেটা যেন সাফসুতরো থাকে। আরশোলা, ইঁদুর বা কোনওরকম পোকামাকড়ে উপদ্রব যেন না থাকে। কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবারে বা প্যাকেটজাত খাবারে  Expiration Date- লেখা থাকে। সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওই তারিখ পেরিয়ে গেলে সেই খাবার ব্যবহার করা যাবে না।


বেঁচে থাকা খাবার:
অনেকসময় খাবার বেঁচে যায়। সেটা ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে হবে। অনেকসময় গরমের দিনে সামান্য সময়ের মধ্যে সেই খাবার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বেঁচে যাওয়া খাবার নিজে খেতে হলে বা কাউকে দিতে হলে তার আগে ভাল করে পরখ করে নিতে হবে।


কাঁচা খাবার আলাদা:
কাঁচা খাবার ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখতে হবে।  কাঁচা মাংস, কাঁচা মাছ, আনাজ বা সামুদ্রিক খাবার রান্না করা খাবারের থেকে আলাদা করে রাখা প্রয়োজন। বাইরে থেকে আনা কাঁচা খাবার না ধুয়ে ফ্রিজে বা খাবারের তাকে রাখা উচিত না।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।