কলকাতা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO (World Health Organisation)-এর তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন সারা বিশ্বে গড়ে ১.৬ মিলিয়ন মানুষ দূষিত বা অপরিচ্ছন্ন খাবারের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুস্থ থাকতে খাবারের মানের উপর সবসময় গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। যে খাবার খাওয়া হচ্ছে সেটা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে, কোনওরকম ভাবে দূষিত না হয় তা বিশেষ করে দেখতে বলেন তাঁরা। এই বিষয়টি নিয়ে (Food Safety) সচেতনতা বাড়াতেই প্রতিবছর ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস বা World Food Safety Day পালন করা হয়ে থাকে।
খাবার যদি অপরিচ্ছন্ন হয়, জীবাণু সংক্রমিত হয় তাহলে তা থেকে প্রাণঘাতী নানা রোগ হতে পারে। টাইফয়েড, কলেরার মতো ছোঁয়াচে রোগ সংক্রমণ হতে পারে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী সংক্রমিত হয়েছে এমন খাবার থেকেই আসতে পারে বিপদ। খাদ্য নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে গলদ থাকলে, ফাঁকফোঁকর থাকলে তা থেকে জল এবং খাবারে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। ফলে খাবার উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়া, বাজারজাত করা থেকে খাওয়া- এই গোটা পথেই খাবার ও জল যাতে সংক্রমণমুক্ত থাকে তার দিকে কড়া নজর রাখা প্রয়োজন।
খাবার বা জলবাহিত কোনও রোগ বিপদ ডেকে আনতে পারে আর্থিকভাবেও। পরপর সংক্রমণে বহু ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ধাক্কা খায়, সামাজিক দিক থেকেও এটি বিপদ। ফলে খাবারের মানের নিরাপত্তায় সতর্ক দৃষ্টি রাখা যে কোনও দেশের সরকারের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে শুধুমাত্র প্রশাসনই নয়, উৎপাদক থেকে ছোট বা বড় ব্যবসায়ী, এমনকী গ্রাহক সকলেরই এই দিকে নজর রাখতে হবে।
আরও পড়ুন...
Skin Care with Ice Water: গরমের দিনে বরফ মেশানো জল দিয়ে মুখ ধুলে কী কী উপকার পাবেন?
খাদ্যদ্রব্যের মানের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও আন্তর্জাতিক স্তরে এই দিনটি আলাদা করে পালন খুব বেশি পুরনো নয়। ২০১৯ সালে এটিকে পালন করা শুরু করেছে United Nations General Assembly. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং Food and Agriculture Organisation of the United Nations (FAO) একসঙ্গে এটি উদযাপন করে।
খাদ্য়ের গুণমান যাতে নির্দিষ্ট মান মেনে চলে। সেটা দেখার জন্য সব দেশের সরকারকেই কড়া আইন আনার বার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলি। পাশাপাশি এই দিনে সাধারণ মানুষের মধ্যেই সচেতনতা তৈরির বার্তা দেওয়া হয়।
২০২৩ সালে এই দিনের জন্য থিম “Food standards save lives” - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই থিম নির্ধারণ করেছে।