Skin Care: ত্বকের পরিচর্যার (Skin Care Routine) জন্য শুধু বাইরে থেকে যত্ন করলে কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট মাখলেই হবে না, নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার (Food Habits) দিকেও। ত্বকের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ হল কোলাজেন (Collagen)। এই প্রোটিন ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। ত্বকের বলিরেখার প্রভাব পড়তে দেয় না, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রোধ করে ত্বকের কোষের ক্ষয়। 


এবার দেখে নেওয়া যাক সবুজ রঙের কোন কোন শাকপাতা খেলে আপনার শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ভাল থাকবে



  • বেশ কিছু সবুজ শাকপাতা রয়েছে যেগুলির মধ্যে থাকা উপকরণ আমাদের শরীর কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হল Bok Choy. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই সবুজ রঙের শাকপাতা আমাদের শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তার ফলে ত্বকের কোষ ক্ষয় হয় না। ত্বক বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়।

  • লেটুস পাতা সকলেই স্যালাডের সঙ্গে খেয়ে অভ্যস্ত। এই সবুজ রঙের পাতার রয়েছে অনেক গুণ। ত্বকের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে লেটুস পাতা। লেটুস যে শুধুমাত্রা কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে তাই নয় এর মধ্যে থাকা জলীয় উপাদান ত্বক হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায় না।

  • কালে- এই সবুজ রঙের শাক-পাতার মধ্যেও রয়েছে অনেক গুণ। সার্বিক ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এই শাক। এছাড়াও দেখভাল করে ত্বকের স্বাস্থ্যের। ভিটামিন সি এবং অসংখ্য মিনারেলসে ভরপুর এই কালে শাক কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।

  • শীতের মরশুমে পালং শাক খুবই জনপ্রিয় শাক। প্রায় সকলের বাড়িতেই শীতের দিনে এই শাক রান্না হয়। পালং শাকের রয়েছে অনেক গুণ। ত্বকেরও খেয়াল রাখে এই শাক। ভিটামিন এ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ সমৃদ্ধ পালং শাক কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব বজায় রাখে। এছাড়াও বলিরেখা রোধ করে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন- চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান লুকিয়ে হেয়ার মাস্কে, বাড়িতে কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে পারেন?