কলকাতা: তিরিশ পেরনো যে কোনও ব্যক্তির জীবনেই একটি নতুন মাইলস্টোন। কম বয়সে যেভাবে জীবনযাত্রা চলেছে। বিশেষ করে পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। সেই ধারাই তিরিশের পরেও রাখা যায় না। ওই রুটিনে যে পরিবর্তন প্রয়োজন সেই ইঙ্গিত দেয় শরীরও। তিরিশে হওয়ার পর যাতে শরীর না ভাঙতে শুরু করে, আরও দীর্ঘদিন যাতে জীবন উপভোগ করা যায়, তার জন্য আগেভাগেই প্রতিদিনের রুটিনে বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখা দরকার।
'বন্ধু' ব্রেকফাস্ট:
কম বয়সে ব্রেকফাস্ট স্কিপ বা ব্রেকফাস্ট (Breakfast) না করার অভ্যাস ছাড়তে হবে। যতই ব্যস্ততা থাকুক দিনের প্রথম খাবারের প্রতি অবহেলা করা যাবে না। ব্রেকফাস্টে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে এবং পেট ভরে খেতে হবে। দীর্ঘদিন ব্রেকফাস্ট ঠিকমতো না করলে, মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ব্য়হত হয়, যার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ারও ক্ষতি হতে পারে। বেড়ে যাবে ওজন। বাড়বে সহজেই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি।
ফাস্ট ফুডে না:
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-ফ্রায়েড চিকেন থেকে বার্গার। রোল কিংবা চাউমিন। যতই পছন্দ হোক, লাগাম টানতেই হবে। তার বদলে ফল ও সব্জির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বাড়িতে বানানো খাবারই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং পুষ্টিকর। ফাস্ট ফুড রক্তে ফ্যাট (Fat), কোলেস্টেরলের (cholesterol) পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা তিরিশের পরে হার্টের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ফলে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
মদ্যপানে কড়া লাগাম:
সপ্তাহান্তে মদ্যপানের (Drinking habits) অভ্যাস আছে? সতর্ক হয়ে যান। আগে প্রতি সপ্তাহেই মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে, তিরিশ পেরোলেই তাতে লাগাম দেওয়া প্রয়োজন। শরীর সুস্থ রাখতে গেলে এটা করতেই হবে। একইভাবে ছেড়ে দেওয়া উচিত ধূমাপানের অভ্যাসও।
আর নয় ঝগড়া:
অযৌক্তিক তর্ক-বিতর্ক এড়ানো প্রয়োজন। কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত দীবনের স্বার্থে এড়িয়ে চলা উচিত অপ্রয়োজনীয় ঝগড়া। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান বেরনো সম্ভব, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি মনোযোগ না দিলেও চলে।
খরচ কমান:
ধীরে ধীরে সঞ্চয়ের (Savings) অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যত আগে সঞ্চয় শুরু করতে পারবেন, তত সুবিধা পাবেন ভবিষ্যতে। আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ আগে থেকেই সঞ্চয়ের জন্য তুলে রাখুন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।