Sunflower Seeds: অনেক ধরনের বীজই আজকাল আমরা খেয়ে থাকি শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য। এই তালিকায় জনপ্রিয় চিয়া সিডস। অনেকে আবার ফ্ল্যাক্সসিডও খেয়ে থাকেন নিয়মিত। তবে এইসব ছাড়াও আপনি খেতে পারেন সূর্যমুখী ফুলে বীজ বা সানফ্লাওয়ার সিড। এই বিশেষ বীজ রোজ অল্প পরিমাণে খেলে কী কী উপকার পাবেন আপনি, একনজরে দেখে নিন। 



  • রোজ সকালে সামান্য পরিমাণে সূর্যমুখী ফুলের বীজ খেতে পারলে সারাদিন চাঙ্গা থাকবেন আপনি। অর্থাৎ এই বীজ সারাদিন আপনাকে প্রচুর এনার্জি সরবরাহ করবে। ফলে কাজ করায় অনীহা হবে না। অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে কিংবা ঝিমিয়ে যাবেন না। ক্লান্তি লাগবে না আপনার। 

  • সূর্যমুখী ফুলের মধ্যে হেলদি ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। তাই এই বীজ খেলে ভাল থাকবে আপনার হার্ট। হেলদি ফ্যাট আপনার হার্টের খেয়াল রাখবে এবং কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেশারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। 

  • সূর্যমুখী ফুলের বীজ খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা। ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমবে। আর ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে এমনিতেই কমবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা। 

  • সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি। ত্বক এবং চুল ভাল রাখে ভিটামিন ই। বাড়ায় ইমিউনিটি। আর ভিটামিন বি সার্বিক ভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সানফ্লাওয়ার সিড রোজ অল্প করে খেলে চুল পড়ার সমস্যা কমবে। নতুন চুল গজাবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই বীজ খাওয়ার অভ্যাস। 

  • সূর্যমুখী ফুলের বীজের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি মস্তিষ্ক আরও সজাগ এবং প্রখর করবে। অনেক বয়স পর্যন্ত ভাল থাকবে স্মৃতিশক্তি। ভালভাবে কাজ করবে মস্তিষ্ক। সহজে কথা ভুলে যাবেন না আপনি। এছাড়াও সারাদিন এনার্জির জোগান দেবে এই বীজ।  

  • সূর্যমুখী ফুলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। এই উপকরণ পেটের একাধিক সমস্যা দূর করে। খাইখাই ভাবও কমায়। 

  • ডায়েটারি ফাইবার বদহজমের সমস্যা কমায়। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এছাড়াও ভাল রাখে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেবে না। 


ইয়োগার্ট কিংবা ওটস অথবা স্মুদির সঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি। তবে যাঁরা রোজ খাবেন তাঁরা অল্প পরিমাণে সূর্যমুখী ফুলের বীজ খাবেন। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সুগার, প্রেশার, কিডনির সমস্যা এই জাতীয় শারীরিক সমস্যা থাকলে সূর্যমুখী ফুলের বীজ খাওয়ার আগে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।