নয়াদিল্লি : HMP ভাইরাস। কোভিডের পর, আবার একটা ভাইরাসকে ঘিরে, হঠাৎ করে, বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা দানা বেঁধেছে। সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপে আসা একের পর এক আতঙ্ক জাগানো ভিডিও। চিনের কি সত্যি এমন পরিস্থিতি ? নাকি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অজস্র ফেক ভিডিওর মতো, এটাও মিথ্যে? কেউ জানে না! কিন্তু ভাইরাসের থেকেও দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে ভয়। সত্যিই কি এই ভাইরাস আরেকটা কোভিড-কাল ডেকে আনতে পারে?
'Prevention is Better than Cure'
কর্নাটক, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গের পর এবার তামিলনাড়ুতে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের হদিশ মিলল। চেন্নাই ও সালেমে ২জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব । আক্রান্ত দু'জনের অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। আক্রান্তদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠও হয়েছে তামিলনাড়ুতে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। এখনই এই নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে মনে করছেন ডাক্তাররা। প্রতিবারই তাঁরা যেমন বলেন, Prevention is Better than Cure! এক্ষেত্রেও সেই একই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
কোথায় কোথায় সংক্রমণ?
গতকালই ভারতে ৪ শিশুর শরীরে HMP ভাইরাসের হদিশ মেলে। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর ৩ ও ৮ মাসের দুই শিশু, আমদাবাদের ২ মাসের শিশুপুত্র, কলকাতাতেও ৬ মাসের একটি শিশুর শরীরে HMP ভাইরাস পাওয়া গেছিল বলে খবর সামনে আসে। পরিবার সূত্রে খবর, ৫ মাসের ওই শিশু গত ১২ নভেম্বর মুম্বই থেকে কলকাতায় আসে। আসার পর থেকেই জ্বর, বমি, পেট খারাপ, সর্দি-কাশিতে ভুগতে থাকে। সেই সঙ্গে শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। ভর্তি করা হয় পিয়ারলেস হাসপাতালে। সেখানেই PCR প্য়ানেল টেস্টে ধরা পড়ে, ৫ মাসের শিশু হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস আক্রান্ত।
তবে চিকিৎসকদের কথা আশ্বস্ত করছে অনেকটাই। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যভবন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। HMP ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সরকার নিবিড়ভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।
আরও পড়ুন :