বরুণ জৈন, নয়া দিল্লি : ২ দশক পরে অ্যাক্টিভ দিল্লি পুলিশের বাংলাদেশ সেল, আরও গ্রেফতার। ফের দিল্লি থেকে জালে ৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। একটি হোটেল থেকেই পাকড়াও ৭ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ৯ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিই বাংলা-ত্রিপুরার পথে ভারতে ঢোকে। অবৈধ নথির সাহায্যে পরিচয়পত্র তৈরি করে ভারতে থাকার অভিযোগ। এই নিয়ে দিল্লিতে ১৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী পাকড়াও।
দিল্লি পুলিশের অপারেশন জারি রয়েছে কয়েকদিন ধরেই। অবৈধ ভাবে যেসব বাংলাদেশি দিল্লিতে বসবাস করেছেন, তাদের খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবার মধ্য দিল্লিতে তলাশি চালিয়ে ৯ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মধ্য দিল্লি থেকে ১৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী পাকড়াও করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়াও ৩১ জন সন্দেহভাজন, যাদের বাংলাদেশের নাগরিক বলে অনুমান করছে দিল্লি পুলিশ, তাঁরা এখন দিল্লি পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে।
এর পাশাপাশি দিল্লি থেকে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন, যাঁদের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানা সমেত পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও দিল্লি পুলিশের টিম কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি সহিদুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি থেকে। বাংলাদেশের নথি নিয়েই দিল্লিতে বসবাস করছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৈধ নথি ছাড়াই গত ৩ বছর ধরে দিল্লিতে থাকছিল সহিদুল। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সহিদুলকে।
বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধ ভাবে ভারতে আসছিল তাদের জন্য ভুয়ো নথি তৈরি করে এমন একটি চক্রের সম্প্রতি পর্দাফাঁস করেছে দিল্লি পুলিশ। এই চক্রের কিংপিন অনীশ এখন দিল্লি পুলিশের জালে। গ্রেফতার হয়েছে বিলাল নামের আরও এক ব্যক্তি। এই দুই মাস্টারমাইন্ডই সমস্ত পরিকল্পনা করত। কীভাবে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে আসা হবে, তাদের ভুয়ো ডকুমেন্ট তৈরি করা হবে, সবটাই থাকত অনীশ এবং বিলালের নখদর্পণে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্বের মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে আনা হত। ভারতে আসার পর কিছু লোককে রাখা হতো কলকাতায়। তারপর তাদের নিয়ে আসা হতো দিল্লিতে। ভুয়ো প্যান কার্ড, আধার কার্ড ছাড়াও ব্যাঙ্কের চেকবুক পাওয়া গিয়েছে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির থেকে।
জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে অনীশ দিল্লিতে বসবাস করছে। প্রায়ই বাংলাদেশে যাতায়াত করত সে। তার বিরুদ্ধে জাল নথি দিয়ে প্যান কার্ড, আধার কার্ড এমনকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্যের অভিযোগও রয়েছে। কেউ একবারে টাকা দিতে না পারলে কিস্তিতেও অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত বলে খবর।
আরও পড়ুন- সবে ফিরেছে জিনাত, ফের বাঘের আতঙ্ক বঙ্গে, ঝাড়খণ্ড সীমানাতেও মিলল পায়ের ছাপ