কলকাতা: জন্ম মাদ্রাজের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। ছোটবেলা থেকে পড়াশুনোয় আগ্রহ ছিল না তাঁর। বরং গ্রামে ঘুরে বেড়াতেই পছন্দ করতেন।  নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে স্কুলে অনুপস্থিতও ছিলেন। অথচ সেই ছেলেই হয়ে উঠলেন ইতিহাসের নাম। সব বিষয়ে তাঁর 'রেকর্ড' নম্বর। একসময়ের পড়াশুনো না করা ছেলেটিই পরবর্তীতে নিজের জীবনের একাধিক সময় ব্যয় করেছেন দেশের শিক্ষার প্রসার, মানব কল্যাণের উন্নতিতে। তিনি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ।  (Sarvepalli Radhakrishnan)                     

  


ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি তথা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মজয়ন্তী ৫ সেপ্টেম্বর। (Teacher's Day 2023) এই দিনটি ভারতে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। যদিও নিজের জন্মদিন পালনে অনীহা ছিল রাধাকৃষ্ণণের। তাই জন্মদিন হিসেবে নয়। দেশের সব শিক্ষকদের দিবস হিসেবেই এই দিনটিকে পালনের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আজও সেই ঐতিহ্যই বহমান। 


বলা হয়, ব্যক্তিত্ব বা ভবিষ্যৎকে সঠিক এবং সুন্দর রূপ দেওয়ার ক্ষেত্ৰে গুরু বা শিক্ষকের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে। শুধুমাত্ৰ একজন শিক্ষকই একজন ব্যক্তিকে জীবনের সঠিক পথ বেছে নেওয়ার বুদ্ধি, আদেশ বা উপদেশ দিতে পারেন। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠার এটিই একমাত্ৰ পথ। গুরু একটি ছাত্ৰকে বা শিষ্যকে জীবনের পথে এগিয়ে চলতে সঠিক দিশা দেখান। 


বিংশ শতাব্দীর একজন উল্লেখযোগ্য শিক্ষাবিদ হিসেবে রাধাকৃষ্ণণ ভারতবর্ষের সদা উজ্জ্বল এক নাম। স্বাধীন ভারতে শিক্ষানীতি সুসংগত করতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আধুনিক ভারতীয় শিক্ষা নীতি বিস্তার এবং বিকাশে রাধাকৃষ্ণণের অবদান অতুলনীয়।  


গোটা ছাত্রজীবনে তিনি একাধিক স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে তিনি 'অর্ডার অফ মেরিট' এবং ১৯৭৫ সালে 'দ্য টেম্প্লেটন প্রাইজ' পান। যদিও পুরস্কারের সম্পূর্ণ অর্থটাই তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে দেন। এছাড়া ১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত তিনি অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলান। ১৯৫৩ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলেছেন। এখনও তাঁর স্মৃতিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ ও অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। (scholarship)                                                       


 


আরও পড়ুন, কঠিন সময়ের কাণ্ডারি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজন্ম ঘটেছিল আশুতোষের হাত ধরে