কলকাতা: শীত পড়ল মানেই শুরু হল একের পর এক রোগের বাড়াবাড়ি। আর এই সময় ঘন ঘন সর্দিকাশির মতো সমস্যা লেগেই থাকে। শীতকালে বাতাসে ভাইরাস ও ব্য়াকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে এই সময় হেঁসেলের কয়েকটি খাবারে ভরসা রাখতে পারেন। এতে সর্দি কাশির সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।



  • রসুন: বুকে কফ জমে থাকলে তা বার করে দেয় হেঁশেলের এই বিশেষ উপাদানটি। সাধারণত সর্দিকাশি লাগলে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভোগেন। রসুন দ্রুত শরীর সুস্থ করে তোলে। ফলে বেশি দিন ভোগার কষ্ট আর সহ্য করতে হয় না। 

  • আদা: সাধারণত সংক্রমণ থেকেই শীতে সর্দি কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে সাহায্য করে আদা। আদার মধ্যে রয়েছে জিঞ্জেরল নামের একটি বিশেষ উৎসেচক। এটি দ্রুত কফ বার করে দেয়।

  • তুলসীপাতা: সর্দিকাশি কমানোর আরেক মোক্ষম ভেষজ হল তুলসীপাতা। তুলসীপাতা বহুদিন ধরেই সর্দিকাশি কমাতে কার্যকরী। এটি ফুসফুসের কোনও সংক্রমণ থাকলে তাও সারাতে সাহায্য করে। 

  • সাইট্রাস ফল: শীতকাল মানেই ফল ও সবজির মরসুম। এই সময়ের স্পেশাল ফল কমলালেবু আপনার ডায়েটে রাখুন রোজ। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন সি সর্দি কাশির সমস্যা সহজেই দূর করে।

  • পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজ আমাদের হেঁশেলের খুব পরিচিত একটি সবজি। এটিও সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে দারুণ ওস্তাদ। এটি ফুসফুসের মধ্যে কোনও প্রদাহজনিত জ্বালা হলে তা কমিয়ে দেয়। 

  • মধু: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধু সর্দি-কাশির জন্য খুব উপকারি। ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দাবি, আপার রেসপিরেটরি সিনড্রোম কমাতে সাহায্য করে মধু। পাশাপাশি মধুর গুণে কাশির সমস্যা কমে। এমনকি গলায় কোনও সংক্রমণ হলে তাও সেরে যায়।

  • হলুদ:  দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রোজ খেতে পারেন হেঁশেলের এই বিশেষ মশলা। এর মধ্যে দুই রকম গুণ রয়েছে। যার একটি হল অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি। অর্থাৎ এটি কোনও প্রদাহজনিত ব্য়থা কমাতে সাহায্য করে। অন্য়দিকে এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। যা ফুসফুসের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। 

  • কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজ জিঙ্কের সমৃদ্ধ উৎস। এটি সর্দিকাশির সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে জরুরি। তাই আপনার রোজকার ডায়েটে রাখতেই পারেন এই বিশেষ বীজটি। সস্তায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কুমড়োর বীজ সারিয়ে তুলবে আপনার রোগ।


আরও পড়ুন: Fatty Liver: কিছু বোঝার আগেই লিভার ফ্যাটি হয়ে যাচ্ছে? কেন এমন হয়?