30-30-30 Rules For Weight Loss: ওজন কমানোর (Weight Loss) ক্ষেত্রে ৩০-৩০-৩০ রুলস এখন বেশ জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিতে কী কী করতে হয়, সে ব্যাপারে অনেকেই বিশদে জানেন না। তাই এই পদ্ধতি নিয়েই রইল কিছু তথ্য। অতিরিক্ত ওজন (Weight Loss Tips) কমানোর জন্য, মেদ ঝরানোর জন্য প্রতিদিন কত রকম কসরতই তো করে থাকি আমরা। অনেকেই নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। বাড়িতে যোগাসন কিংবা ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ হোক বা জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট, সবেতেই কমে ওজন। এর পাশাপাশি নজর দেওয়া প্রয়োজন খাওয়া-দাওয়ার দিকেও। কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন- এইসবের উপরেই নির্ভর করে আপনার ওজন কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ইদানীং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই ৩০-৩০-৩০ রুলস বা নিয়ম বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এক্ষেত্রেকয়েকটি পর্যায়ে কিছু নিয়ম পালন করলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এক্ষেত্রে কী কী করণীয় দেখে নেওয়া যাক।



  • ৩০-৩০-৩০ রুলসের ক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনাকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং তারপরে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। অর্থাৎ জলখাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।

  • জলখাবারে ৩০ গ্রাম প্রোটিন খাবার খাওয়ার পর আপনি যে একসারসাইজ করবেন সেটা লো-ইনটেনসিটি ওয়ার্ক আউট হতে হবে। অর্থাৎ খুব ভারী একসারসাইজ করা যাবে না। আর ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে জলখাবার খেতে হবে। এই খাবার খাওয়ার পরেই একসারসাইজ করতে যাবেন না। একটু সময় ব্যবধানে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।

  • জলখাবারে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন স্ক্রাম্বলড এগ, কটেজ চিজ, গ্রিক ইয়োগার্ট, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি, তোফু দিয়ে তৈরি কিনুয়া- এইসব খাবার।

  • জলখাবারের পর ৩০ মিনিট ধরে যে লো-ইনটেনসিটি একসারসাইজ করার কথা বলা হয়েছে সেখানে আপনি বাড়ির আশপাশে, কিংবা ট্রেডমিলে কম গতিতে হাঁটতে পারেন। এছাড়াও করতে পারে হাল্কা জগিং। গান চালিয়ে একটু নাচও করতে পারেন। কিংবা বেরিয়ে পড়তে পারেন নিজের বাইসাইকেল নিয়ে।

  • এই ৩০-৩০-৩০ রুলসের সমস্ত নিয়ম মানতে পারলে একাধিক উপকার পাবেন আপনি। সবচেয়ে আগে যেটা হবে যে কম সময়ে দ্রুত গতিতে ওজন কমবে।

  • ৩০-৩০-৩০ রুলসের সাহায্যে সহজে বডি ফ্যাট বার্ন হবে। যেহেতু জলখাবারে আপনি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, তার ফলে সহজেই বডি ফ্যাট বার্ন হবে এবং আপনার পেশীর গঠন ঠিকঠাক থাকবে।

  • যেহেতু ৩০-৩০-৩০ রুলসের সাহায্যে বডি ফ্যাট বার্নিং প্রসেস সঠিক ভাবে সম্পন্ন হবে তার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগারের মাত্রা। ফলে সার্বিক ভাবেই সুস্থ থাকবেন আপনি।


আরও পড়ুন- নতুন বছরে শপথ হোক 'সুস্থতার', বছরভর সুস্থ-সবল থাকতে প্রতিদিন কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?