Coconut Water Causes Death: ডাবের জল খুবই স্বাস্থ্যকর এবং এতে ভরপুর মাত্রায় পুষ্টিগুণ থাকে। এতে প্রাকৃতিকভাবে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা শরীরে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মত প্রয়োজনীয় উপাদান জোগান দেয়। কিন্তু এই ডাবের জল (Coconut Water) খেয়েই এক ব্যক্তি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান। ডাবের জল নিঃসন্দেহে উপকারি, কিন্তু এই ডাব সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলেই বিপদ বাড়তে পারে। আর এর কারণে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

সম্প্রতি এমন ঘটনাও দেখা গিয়েছে। ডাবের জল (Coconut Water) খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ডেনমার্কের এক ব্যক্তির। আর তারপরেই ডাবের জল নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। আদপে জানা গিয়েছে ডাবের জল খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই ৬৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যু হয়। তার আগে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দিয়েছিল। প্রচুর ঘামতে থাকেন তিনি, বমিবমি ভাব দেখা যায়, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে শুরু করে, মাথা কাজ করছিল না, বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছিল। এমনকী তিনি ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলছিলেন। এরপরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে এমআরআই করে দেখা যায় তাঁর মস্তিষ্কে একটা অংশ ফুলতে শুরু করেছিল। আইসিইউতে তাঁকে রেখে মেটাবলিক এনসেফালোপ্যাথির চিকিৎসা চলে তাঁর উপরে। আর তাতেই দেখা যায় মেটাবলিক সমস্যার কারণে সেই ব্যক্তির মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করার ২৬ ঘণ্টা পরেই তাঁর মৃত্যু হয় ব্রেন ডেথের কারণে। তাঁর লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সরাসরি একটি স্ট্র'র মাধ্যমে ডাব (Coconut Water) থেকে চুমুক দিয়ে ডাবের জল খেয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। সেই জলের স্বাদ তাঁর অন্যরকম লেগেছিল, খানিক বাজে গন্ধও ছিল সেই ডাবের। ফলে পুরো জলটাও খাননি তিনি। ডাবটা কাটার পরেই তাঁর স্ত্রীকে তিনি জানান যে ডাবের ভিতরটা কেমন কষ মত লেগে রয়েছে আর পচে গিয়েছে। খাওয়ার আগে সেই ডাবটিকে কেটে ছাল ছাড়িয়ে ঘরের তাপমাত্রায় এক মাস ধরে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে, যেখানে স্বাভাবিকভাবে ডাব সংরক্ষণের আদর্শ তাপমাত্রা হল ফ্রিজে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে কাটা খোলা ডাব কখনই বাইরে রাখা উচিত নয়, ফ্রিজের মধ্যে রাখা উচিত কারণ এর শেলফ লাইফ অনেক কম থাকে। তবে না কাটা অবস্থায় ডাব অনেকদিন পর্যন্ত বাইরে রেখে দেওয়া যায়। কাটা অবস্থায় ডাবকে ফ্রিজের মধ্যে বায়ুনিরুদ্ধ কনটেনারে ভরে রাখতে হবে যাতে কোনও হাওয়া ঢুকতে না পারে। আর এই নিয়ম না মানলেই ডাবের জলের মধ্যে ছত্রাক, ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে শুরু করে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।