কলকাতা: শীতকাল (Winter) পড়তেই ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে দিয়েছে। ত্বকে টান টানভাব দেখা দিতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এমনটা প্রতিবছরই তো হয়। তাই এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন আবহাওয়ায় কীভাবে ত্বক (Skin Care) একইরকম কোমল, মোলায়েল, নরম এবং সুন্দর রাখবেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে সমস্ত রকমের ত্বকের অধিকারীদের মধ্যেই শুষ্কভাব দেখা দেয়। ত্বকের জলীয়ভাব কমে যাওয়ার কারণেই এমনটা দেখা দেয়। যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁদের জন্য আরও কষ্টকর। কারণ, এই সময়ে শুষ্ক ত্বক যাঁদের, তাঁদের ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সময়ে যদি ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলীয়ভাব বজায় না রাখা যায়, তাহলে অন্যান্য নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া নানা উপায়ে শীতকালে ত্বকের জলীয়ভাব বজায় রাখা সম্ভব। কীভাবে বছরের অন্যান্য দিগুলোর মতো একইরকম কোমল ত্বক শীতকালেও পাবেন, তার পরামর্শ দিচ্ছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।


১. শীতকালে ত্বক কোমল এবং সুন্দর রাখতে ত্বকে অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। জানাচ্ছেন, অ্যালোভেরায় রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান। যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এর জন্য ত্বকে অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করলে ত্বক কোমল এবং সুন্দর থাকবে।


আরও পড়ুন - Skin Care Tips: শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিন মধু দিয়ে, ঘরেই বানিয়ে ফেলুন ফেসপ্যাক


২. পাকা পেঁপে দিয়েও শীতকালে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন। পাকা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। পাকা পেঁপের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে তা পেস্ট বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।


৩. শীতকালে ত্বক কোমল রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে ভিটামিনজাতীয় খাবার তালিকায় বেশি করে রাখুন। মরসুমি ফল থেকে সবুজ শাক-সব্জি বেশি পরিমাণে খেতে থাকার এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কিউয়ি, আমন্ড বাদাম, ওটস, দুধ, অ্যাভোক্যাডো প্রভৃতি খাবারগুলি রোজকার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।