কলকাতা: ট্রেকে যাওয়ার কথা ভাবেন অনেকেই। কিন্তু দুর্গম পথের কথা ভেবে এড়িয়ে যান অনেকেই। তবে ভারতেই এমন বেশ কয়েকটি ট্রেক পথ রয়েছে যা খুব বেশি দুর্গম নয়। যাঁরা প্রথমবার ট্রেকে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা এই পথ বাছতে পারেন। এখানে ট্রেকের শখও মিটবে আবার মনও ভরাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। 


ত্রিউন্ড ট্রেক


যাঁরা প্রথম ট্রেকে যাবেন ভাবছেন তাঁদের জন্য ত্রিউন্ড অন্যতম সেরা ঠিকানা। ত্রিউন্ড আসলে "ইন্দ্রাহার পাস" যাবার সময়ের একটা ব্রেকপয়েন্ট , ত্রিউন্ড যাবার সবচেয়ে ভাল সময় শীতকাল। এর একপাশেধৌলাধার আর আরেক পাশে ক্যাংড়া উপত্যকায় নিখুঁত দৃশ্য।


লোকেশন: হিমাচল প্রদেশ


সময়: ২ দিন


ট্রেকের সেরা সময়: মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর


থাকার ব্যবস্থা: Triund Camps: এখানে দুর্ধষ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ক্যাম্পে থাকতে পারেন। এ ছাড়াও বাজেট ফ্রেন্ডটি হস্টেল ও গেস্ট হাউসও রয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু রিসর্টও মিলবে এখানে


ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার


ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারও অন্যতম অপশন হতে পারে বিগিনারদের জন্য। রাস্তা খুব বেশিচড়াই উথরাই না হওয়ার কারণে এই ট্রেকে কোনও গাইড প্রয়োজন হয় না। এই স্থানে যাবার আদর্শ সময় আগস্টের শুরু থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ।


লোকেশন: উত্তরাখন্ড 


সময়: ৭ দিন


ট্রেকের সেরা সময়: জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর


থাকার ব্যবস্থা: থাকার জন্য প্রচুর গেস্ট হাউস এবং ক্যাম্প রয়েছে। আরামদায়ক অ্য়াকোমোডেশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। জোশিমঠে রয়েছে প্রচুর হোটেল এবং লজ। আর যাঁরা আধ্যাত্মিক পরিবেশে থাকতে চাইছেন, তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে ঋষিকেশে 


চোপতা তুঙ্গনাথ চন্দ্রশিলা ট্রেক


তুঙ্গনাথ চন্দ্রশিলা যাওয়ার জন্য যেতে হবে চোপতা। চোপতা ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয় একে। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ ৫কিমি এবং তুঙ্গনাথ থেকে চন্দ্রশিলা ২কিমি। ট্রেকের দৈর্ঘ্য ৭কিমি হলেও রাস্তা খুব খাড়া। তবে গন্তব্যে পৌঁছর পর যে দৃশ্যের দেখা মিলবে তাতে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যেতে বাধ্য। চন্দ্র শিলা টপ থেকে, নন্দাদেবী, কেদারপিক, চৌখাম্বা, ত্রিশূল প্রভৃতি সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়, তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে দৃশ্যমানতা কমে যায়।  পৌরানিক কাহিনী অনুযায়ী দক্ষরাজের অভিশাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য চন্দ্রদেব এখানে ধ্যানে বসেছিলেন।


লোকেশন: উত্তরাখন্ডের রুদ্রপ্রয়াগে


সময়: ৪ দিন


ট্রেকের সেরা সময়: মার্চ থেকে জুন, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর


কোথায় থাকবেন: চোপতাতে গেস্ট হাউস এবং ক্যাম্পের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও উখিমঠে থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর হোটেল এবং লজ। 


ক্ষীরগঙ্গা ট্রেক
এখানে আকাশের চাঁদ এসে ধরা দেয় সবুজ ঘাস মাটিতে। স্রোতস্বিনী পার্বতী নদীর গা ঘেঁষে ক্ষীরগঙ্গা ট্রেক। 


লোকেশন: হিমাচল প্রদেশের পার্বতী ভ্যালি


সময়: ২-৩ দিন


ট্রেকের সেরা সময়: মে থেকে জুন, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর


থাকার ব্যবস্থা: ক্ষীরগঙ্গায় থাকার জন্য গেস্টহাউস রয়েছে। যাঁরা প্রকৃতির মাঝে থাকতে চান, তাঁদের জন্যও রয়েছে ক্যাম্পের ব্যবস্থা। অন্য়দিকে কাসল এবং মণিকরণেও প্রচুর হোটেল এবং লজ রয়েছে।


হামতা ভ্যালি


স্পিতি উপত্যকাকে বিভাজিত করে রেখেছে হিমাদ্রি হিমালয়ের যে পর্বতরাজি সেই পর্বতশ্রেণীর নিম্নতম অংশ এই হামতা পাস। উচ্চতা প্রায় ১৪০০০ ফুট। যুগ যুগ ধরে, এই পাস অতিক্রম করে গ্রীষ্ম আর বর্ষাকালে স্থানীয় মেষপালকেরা এক উপত্যকা থেকে আরেক উপত্যকায় তাদের ভেড়াদের ঘাস খাওয়াতে নিয়ে আসে, পাহাড়ী খচ্চরে মাল বয়ে চলে বেওসায়ির দল। দুই উপত্যকার মানুষদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটে। একদম উপরে পৌঁছর পর লাহুল স্পিতি উপত্যকার যে সৌন্দর্যে দেখা মেলে তাতেই প্রাণ জুড়াবে আরোহীদের। হামতা ভ্যালি থেকে দেবরাজ ইন্দ্রের আসনেরও দেখা মেলে। 


লোকেশন: হিমাচল প্রদেশের মানালি


সময়: ৪-৫ দিন


ট্রেকের সেরা সময়: জুন থেকে সেপ্টেম্বর


থাকার ব্যবস্থা: থাকার জন্য ক্যাম্পের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর হোটেল ও রিসর্ট