১৫ মার্চ, ২০২৩


আগেরবার যখন দেশ ছাড়ছিলাম তখনও নরেন্দ্র মোদি ভারতের এক অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র। আর দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনজোয়ারের শিখরে চড়ে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে পৌঁছে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রথম আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হল। আমার লাগেজের ওজন বিমান সংস্থার বেঁধে দেওয়া সীমার বেশ কম হওয়ায় কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর প্রথম যে বদল চোখে পড়ল তা হল ইমিগ্রেশন। ১০ বছর আগে খুদে খুদে অক্ষরে লেখা এক গোছা ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হত। এবার কাউন্টারে দাঁড়াতেই আধিকারিক আমার ছবি তুলে পাসপোর্টে ছাপ মেরে আমায় তা ফিরিয়ে দিলেন। বদল অনেকটাই। সিকিওরিটি চেক নির্ঝঞ্ঝাটে কাটল।


এবারও আমার যাত্রাসঙ্গী বন্ধু সৌরেন্দ্র আর সৌম্যজিৎ। আগেরবার আমাদের তিনজনের বহু স্মৃতি রয়েছে। এবার আবারও হয়তো কিছু পুরনো জায়গা একসঙ্গে ঘোরা হবে। সঙ্গে আরও নতুন দুই সাগ্নিক আর সৈকত। ওরা এবার প্রথম আমাদের সঙ্গে বিদেশ যাচ্ছে। ওদের সেই উত্তেজনা প্রতি মুহূর্তে বেশ উপভোগ করছি। ওদের মধ্যে নিজেকে ১০ বছর আগের জায়গায় যেন দেখতে পাচ্ছিলাম। 


২০১৩-র নভেম্বরে যখন বাড়ি থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বেরোচ্ছিলাম তখন পিছনে হাত নাড়া মুখগুলোর মধ্যে ছিলেন আমার বাবা। এক বছর আগে তিনি আমার সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। জানি প্রতিদিন সন্ধেটা মা আমার ফোনের অপেক্ষায় বসে থাকবেন।
 
আরো ১০ বছর পিছিয়ে গেলে দেখতে পাই তারুণ্যের ঘরে আমি হাত ধরেছিলাম সদ্য কৈশোর পেরনো সৌম্যজিতের। বরং যদি বলি ওই আমার হাতটা আঁকড়ে ধরেছিল তাতে সত্যের ভাগ কিছুটা বেশি হবে। তারপর পাহাড়ি নদীর মতো দু'জনের সম্পর্ক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। আমার কাছে নির্ভরতার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে ওই নামটা। এত কথা লেখার কারণ একটাই।  জানি, ইচ্ছেশক্তি দিয়ে ও সবটা অর্জন করতে পারে। যেমন অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা পাঁচজন ইউরোপ চললাম। ১০ বছর আগে এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে বসার ক্ষমতা ছিল না। এবার সেখানে বসে একপ্রস্থ চিকেন সুপ, স্যালাড আর তন্দুরি খেয়ে নিশ্চিন্ত মনে এই লেখাটা শুরু করলাম। আর একটু পরেই বিমানে চড়ার ডাক পড়বে।


১৬ মার্চ, ২০২৩



বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা এমিরেটস। পরিষেবার জন্য রীতিমতো সুনাম রয়েছে তাদের। বিশাল বোয়িং ৭৭৭ ছাড়ার আগে থেকেই বুঝতে পারছিলাম দুবাই পর্যন্ত প্রথম দফার যাত্রায় কিছুটা তাল কাটতে চলেছে। সৌজন্যে, আমাদের সামনের সারির ৩ শিশু। বিমানে প্রাথমিকভাবে তারা কিছুটা অস্বস্তিতে আছে নিশ্চয়ই কিন্তু তাদের ভোলানোর চেষ্টায় তাদের অভিভাবকরা ক্রমান্বয়ে বিমান সেবিকাদের এবং আশপাশের যাত্রীদের অতিষ্ঠ করে তুলছিলেন। আমার এক সহযাত্রীর সরস মন্তব্যে চোখ বন্ধ করলে বনগাঁ লোকাল ভেবে ভ্রম হতে বাধ্য। যাইহোক এবার বিমান যাত্রার বিশেষ প্রাপ্তি বিমানের সামনে লাগানো ক্যামেরায় পাইলটের চোখে টেক অফ চাক্ষুষ করা। ১০ বছর আগের তুলনায় এটা বেশ চমকপ্রদ, নতুন অভিজ্ঞতা। ঘুম পায়নি, তাই সামনের স্ক্রিনে চ্যাপলিন সাহেবের দুটো অনবদ্য ছবি ‘গোল্ড রাশ’ এবং ‘দ্য ডিকটেটর’  দেখা হল। মাঝরাত পেরিয়ে দুবাই পৌঁছে গেলাম।



মাঝরাতের আকাশ থেকে দুবাই তখন যেন নানা অলঙ্কার শোভিত রাজরানির মত। সোনার গয়না থেকে হীরে - চুনি - পান্নার আলো যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে। পরের ফ্লাইট ধরতে তখনো ঘন্টা দুয়েক হাতে আছে। শপিং প্রেমীদের স্বর্গ দুবাই ডিউটি ফ্রি মধ্যরাতেও যেন ক্রিসমাসের নিউমার্কেট। 
পরের ফ্লাইট যখন ছাড়ল তখন দেশে প্রায় ভোর হয় হয়। এবার খানিকটা ঘুমিয়ে নিলাম। দীর্ঘ এই ১৫ ঘন্টার যাত্রাপথ যেন আমরা অন্ধকারে থেকে আলোক ছুঁতে ছুটে চললাম। ঘুম ভাঙার পর দীর্ঘ বসে থাকায় কোমর ব্যথা করছে। একপ্রস্থ খাবার এল। পরে জেনেছিলাম ঘুমের জন্য প্রথম দফার খাবারটি থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। যাইহোক চটপট খেয়ে আরেক মাইলফলক ছবি ‘দ্য কিড’ দেখে ফেললাম। ধীরে ধীরে পিছন দিকের দিগন্ত রেখায় লাল-কমলা-হলুদ রঙের ছটা জানান দিচ্ছে পশ্চিমেও এবার ভোর হয় হয়। লন্ডনের কাছাকাছি পৌঁছতে আকাশ মেঘলা। নির্ধারিত সময়ের কুড়ি মিনিট আগে বিমান যখন বিলেতের মাটি ছুঁল বাইরের তাপমাত্রা তখন ৯ ডিগ্রি। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে।


ইমিগ্রেশন অফিসার খুঁটিয়ে জেনে নিলেন কতদিন সে দেশে থাকব। ফেরার টিকিট, ডেস্টিনেশন যাচাই শেষে যখন বেরোলাম তখনও আমাদের যাঁরা নিতে আসবেন, এসে পৌঁছননি। সৌজন্যে, সে দেশের টিউব এবং রেল ধর্মঘট। অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কিছুক্ষণেরস মধ্যেই এসে পড়লেন গৌরব এবং ঐশ্বর্য। দু'জনেই সে দেশে উচ্চপদে কর্মরত। গৌরবের থেকে জানা গেল রেলকর্মীরা, মাইনে বাড়ানোর জন্য এই স্ট্রাইক ডেকেছেন।


ঘন কালো আকাশ। কনকনে ঠান্ডা। ভেজা ভেডা চারদিক। গ্যাটউইক এয়ারপোর্ট ছেড়ে খানিক এগোতেই শেষ-শীতের বিবর্ণ প্রকৃতি নজরে এল। রেল ধর্মঘটের কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেশি তাই বারে বারে সিগনালে দাঁড়াতে হচ্ছিল। খানিক পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে লাগল। ১৮৯৭ সালে টেমস নদীর তলা দিয়ে যে ব্ল্যাক ওয়াল টানেল তৈরি হয়েছিল তা পেরিয়ে ইস্ট লন্ডনের কানালি ওয়ার্ফে ঐশ্বর্য দের বাড়ি পৌঁছলাম। আন্তরিক আতিথ্যে বহু আয়োজন সামনে। পেটপুরে সবাই ব্রাঞ্চ (বলে রাখা ভাল ব্রাঞ্চ কিন্তু লাঞ্চ নয়। দেরি করে ভরপুর ব্রেকফাস্টই হল ব্রাঞ্চ) খেলাম। খাওয়াদাওয়া শেষে ওদের বিদায় জানিয়ে আমাদের পাঁচজনের সফর শুরু হল। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় ২০২০ অক্টোবরে লন্ডনে রিমোট ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে ঐশ্বর্যর।


 



ঐশ্বর্য দে


লন্ডন শহরের কথা ভাবলে প্রথম যে কয়েকটা ছবি স্মৃতি পটে উঁকি দিয়ে যায় তা হল লন্ডন ব্রিজ। আমাদের প্রথম গন্তব্য সেখানেই। তবে লন্ডন ব্রিজ বলতে আমরা যেটা বুঝি তার পোশাকি নাম টাওয়ার ব্রিজ। সাসপেন্স ব্রিজ এবং বাস্কেল ব্রিজ এই দুই পদ্ধতি মিলিয়ে ১৮৮৬ থেকে ১৮৯৪ পর্যন্ত এই ব্রিজ তৈরি হয়, যা লন্ডন শহরের শিল্প সংস্কৃতি সবের সঙ্গেই মিলে গেছে। কানে বাজছে ছোটবেলায় শেখা ব্রামসের সেই সুর ‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ফলিং ডাউন’। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সেই সুর লক্ষ কোটি শিশুমনে এক সেতুর ভাঙাগড়ার অলীক ছবি এঁকে চলেছে। ততক্ষণে ঝকঝকে রোদ উঠেছে। তার সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া বেশ আরামদায়ক। প্রথমে ব্রিজে উঠে এবং পরে টেমসের ধারে নেমে লন্ডন ব্রিজের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি তোলা হল।


 



টাওয়ার ব্রিজ


 



টাওয়ার ব্রিজ


পাশেই টাওয়ার অফ লন্ডন। টেমস নদীর পাড়ে এক হাজার বছরের প্রাচীন এই দুর্গ রাজ পরিবারের বহু ইতিহাসের সাক্ষী। বিভিন্ন সময়ে রাজাদের অস্ত্র থেকে সাজ পোশাক এমনকী রাজ-শত্রুদের শাস্তি দেওয়ার নানা কৌশল ইতিহাসকে চোখের সামনে তুলে ধরে। তবে এত কিছুর মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ক্রাউন রুম। তুলনামূলক অন্ধকার এই ঘরের মাঝে এক লম্বা কাচের বাক্সে পরপর রাখা হিরে- চুনি- পান্না- নীলা খচিত এক একটা রাজ মুকুট। বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ রাজা ও রানিদের ব্যবহৃত মুকুট এবং রাজদণ্ড প্রদর্শিত হচ্ছে এই ঘরে।


 



টাওয়ার অফ লন্ডন


 



টাওয়ার অফ লন্ডনের ভিতরের ছবি


 


চোখ অবশ্য খুঁজে চলেছিল কোহিনুর যা একসময় নাবালক দলীপ সিং-এর হাত দিয়ে ভিক্টোরিয়াকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তবে এত রত্নের মাঝে ভারতীয় হিসেবে নামটুকু ছাড়া কোহিনুর আলাদা করে নজরে পড়ার মতো বিশেষ হয়ে ধরা দিল না। কিছুটা হতাশা নিয়ে ডান দিকে ঘুরেই বাঁদিকের একটা শোকেসে নজর পড়ল। তার ভেতরে রাখা কাপড়ের বাজুবন্ধ বা তাগা জানান দিচ্ছে, তার মাধ্যমে দলীপ সিং এর হাতে বাধা ছিল কোহিনুর। এক অসহায় নাবালক রাজপুত্রের মুখ কল্পনা করে বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল।


টাওয়ার অফ লন্ডন দেখে বাইরে পা রাখতেই সৌম্যজিতের খেয়াল হল তার ফোনটা পকেটে নেই। এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য আমাদের বহুবার হয়েছে। কিন্তু লন্ডনে সেই অভিজ্ঞতার পরিণতি বলতেই গল্পের অবতারণা। এক্সিট গেটের গার্ডকে বলে সৌম্যজিৎ ছুটল ভেতরে। সে গেট দিয়ে আমাদের ঢোকার অনুমতি হল না। সৌরেন্দ্র আর সাগ্নিক মূল প্রবেশপথ দিয়ে ঢোকার চেষ্টায় সেদিকে ছুটল। এক্সিট গেটের নিরাপত্তা কর্মীদের পরামর্শে সৈকত গেল খানিক দূরে 'লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড' কাউন্টারে। আমি একরকম নিষ্কর্মার মত ব্যাগপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে হারানো ফোনটি বাজাতে থাকলাম। এক্সিট গেটে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারছি নিরাপত্তা কর্মীদের ওয়াকিটকিতে ফোন হারানোর খবরাখবর চলছে।


মিনিট ১৫ এভাবেই কাটল। সৈকত আর সৌম্যজিৎ ফিরে এসেছে আমার কাছে। হঠাৎই নিরাপত্তারক্ষীর হাতের ইশারায় বুঝলাম আমাদের ডাক পড়েছে। আমরা ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড' দপ্তরে পৌঁছতে পৌঁছতেই ভেতর থেকে এক নিরাপত্তারক্ষী এনে দিলেন হারানো ফোন। বিদেশের বুকে ফোন হারিয়ে পনের মিনিটে ফেরত পাওয়ার আনন্দ বোধ হয় কোন কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। যাই হোক কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেই দুই নিরাপত্তারাক্ষীর সঙ্গে ছবি তুলে মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। মনে পড়ে গেল, এই লন্ডনের বুকে আন্ডারগ্রাউন্ড টিউবে রবীন্দ্রনাথ হারিয়ে ফেলেছিলেন গীতাঞ্জলির পাণ্ডুলিপি। সেদিন সঙ্গী পুত্র রথীন্দ্রনাথ হারানো প্রাপ্তির দপ্তরে একটি অভিযোগ করেন। পরে কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় ব্রিফকেসবন্দি সেই পাণ্ডুলিপি ফিরে পান রবীন্দ্রনাথ। এর অনেক পরে তা নোবেল পুরস্কার পায়।


 



হারানো প্রাপ্তি



মনে একরাশ আনন্দ নিয়ে টাওয়ার হিল স্টেশন থেকে টিউবে চেপে বসলাম। এটা আমার প্রথম টিউব যাত্রা। লন্ডন শহর এবং শহরতলির সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোত্তম গণ পরিবহন ব্যবস্থা হল এই আন্ডারগ্রাউন্ড। ১৮৬৩ সালে লন্ডন শহরে মেট্রোপলিটন রেলওয়ে নামে চালু হয়েছিল বিশ্বের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলওয়ে। বর্তমানে মোট ১৫ টা লাইনে তার বিস্তার। এক এক স্টেশনে দুটো থেকে চারটি তলায় ভাগ হয়ে ছুটে চলেছে টিউব রেল। এ যেন এক আশ্চর্য পাতাল রাজ্য, যেখানে রয়েছে লন্ডন পরিবহনের প্রাণভোমরা। প্রতিটা স্টেশন এমন সুপরিকল্পিত যে গন্তব্য জানা থাকলে স্টেশনে লাগানো ম্যাপ এবং দিক নির্দেশ আপনাকে সহজে দিক্ভ্রষ্ট করবে না। দিকে দিকে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন। তবে টাচলেস যুগে এসে লোকে নানা ধরনের পরিবহন কার্ড ব্যবহার করেন। পর্যটকদের জন্য অয়েস্টার কার্ড বেশ সুবিধাজনক।


এখন গোটা বিশ্বেই পর্যটকদের থাকার জন্য হোটেলের পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট অ্যাপে পছন্দমতো বাড়ি প্রয়োজনমতো দিনে এবং জায়গায় বুক করা যায়। আর্লস কোর্টে আমাদের বাড়ি বুকিং করাই ছিল। স্টেশনে নেমে মিনিট পাঁচেক হেঁটে পৌঁছে গেলাম ঠিকানায়। ১০০ রাডক্লিফ গার্ডেন। বেশ বড় অ্যাপার্টমেন্ট। দীর্ঘ বিমানযাত্রা এবং সারাদিন অনেকটা ঘোরার ক্লান্তি অনেকটা ধুয়ে গেল গরম জলে স্নান করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের রাতের খাবার তৈরি করে নিয়ে এল ঐশ্বর্য আর গৌরব। গরম গরম ভাত, ডাল আর মুরগির মাংস। আহা ! প্রথম দিনের লন্ডন সফরের ইতি।


চলবে ...