Heart Attack Risk: একটা সময়ে হৃদরোগ দেখা যেত বয়স্কদের মধ্যে। কিন্তু, এখন অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রেও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে হার্ট অ্যাটাক।এর কারণ কী? হৃদরোগ থেকে বাঁচতে কী করণীয়? এই নিয়ে চর্চা চলছে প্রতিনিয়ত। অনেকে হয়ত খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে খুব সচেতন। খেলাধুলো ব্যায়ামও করেন। অথচ তার হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ। এর কারণ হতে পারে কোনও নির্দিষ্ট ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাব। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ভিটামিন B12-এর অভাব আপনার হার্টের জন্য কতটা মারাত্মক হতে পারে। সম্প্রতি হওয়া গবেষণায় প্রকাশ, ভিটামিন B12-এর অভাবে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
ভিটামিন B12 আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ (Red Blood Cells) ঠিক রাখে। এছাড়াও ডঃ বিমল ছাজেড়ের মতে, "ভিটামিন B12-এর অভাব শরীরের অনেক জটিল প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, যার মধ্যে হৃদরোগও অন্তর্ভুক্ত।
হৃদরোগ এবং ভিটামিন B12-এর সম্পর্ক
গবেষণা বলছে যে ভিটামিন B12-এর অভাব থাকলে রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই সম্পর্কটি প্রধানত হোমোসিস্টিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিডের স্তরের সঙ্গে যুক্ত। যখন শরীরে ভিটামিন B12-এর পরিমাণ কমে যায়, তখন হোমোসিস্টিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে ধমনীতে প্রদাহ এবং রক্তের জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে। হোমোসিস্টিন এমন একটি পদার্থ যার উচ্চ মাত্রা হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন B12, B6 এবং ফলিক অ্যাসিড (Folic Acid) হোমোসিস্টিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ভিটামিন B12-এর অভাব হওয়ার লক্ষণ
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ঘোরা
- ত্বকের ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
- মুখে ঘা
- ঝিনঝিন বা অসাড়তার অনুভূতি
কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন
ভিটামিন B12-যুক্ত খাবারগুলি হল -
- মাংস, মাছ এবং পোলট্রি
- ডিম
- দুগ্ধজাত পণ্য
- ফর্টিফাইড শস্য
হৃদরোগ থেকে দূরে থাকার উপায়
- নিয়মিত ভিটামিন B12-এর পরীক্ষা করান
- সুষম খাবার খান
- ধূমপান এবং মদ থেকে দূরে থাকুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
আপনার হৃদপিণ্ড আপনার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ভিটামিন B12-এর অভাবের মতো ছোট্ট একটি বিষয়কে উপেক্ষা করলে আপনার হৃদরোগের স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখুন।
ডিসক্লেমার: এই তথ্য গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচনা করবেন না। কোনো নতুন কার্যকলাপ বা ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।