Vitamin B12 Rich Foods: ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12) সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়েই ভাল। আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা গঠনের জন্য এই ভিটামিন প্রয়োজন। এছাড়াও ভিটামিন ১২ মেটাবলিজম রেট (Metabolism Rate) বাড়ায়। আর মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি পেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে (Healthy Weight) থাকে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী খাবেন।


মুরগির মাংস- আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করার জন্য খেতে পারেন মুরগির মাংস। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর চিকেন ব্রেস্ট অর্থাৎ মুরগির বুকের অংশে মাংস। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে এই খাবার রাখতে পারেন। চিকেন ব্রেস্টে ভিটামিন বি১২ ছাড়াও রয়েছে লিন প্রোটিন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস। এই উপকরণগুলি আমাদের শরীর সার্বিকভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মানবদেহের মেটাবলিজম রেট বাড়ায় এবং ওজন কমায়।


দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট- বিভিন্ন ধরনের ডেয়ারি প্রোডাক্ট অর্থাৎ দুগ্ধজাত উপকরণ আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের হার বাড়াতে সাহায্য করে। আর মেটাবলিজম রেট বেশি থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দুধ, ইয়োগার্ট, চিজ, মাখন- এইসব উপকরণ দুগ্ধজাত উপকরণ হিসেবে খেতে পারেন। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১২, মিনারেলস এবং প্রোটিন। আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এইসব খাবার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সুদৃঢ় করে এবং দেহে ক্যালসিয়াম শোষণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। 


ডিম- ডিম খেতে পারেন যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন তাঁরা। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম সবটাই খান। ডিমের মধ্যে ভিটামিন বি১২ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ডিমের মধ্যে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। এই সমস্ত উপকরণ আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টির জোগান দেয়। এছাড়াও মেটাবলিজম রেট বাড়ায়।


টুনা- টুনা মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রোটিন, ফসফরাস এবং মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেলস অর্থাৎ খনিজ উপকরণ। টুনা মাছ আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর মেটাবলিজম রেট যত বেশি হবে ওজন তত কমবে। অতএব যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া ডায়েট করছেন তাঁরা টুনা মাছ রাখতে পারেন মেনুতে।


সার্ডিন- সার্ডিন মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ রয়েছে। মানবদেহের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই মাছও সাহায্য করে। তাই সার্ডিন মাছ খেতে পারেন। সার্ডিন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। এই মাছ মেটাবলিজম রেট বাড়ানোর পাশাপাশি হাড়ের গঠনের দিকেও খেয়াল রাখে। এছাড়াও কমায় প্রদাহজনিত অর্থাৎ ইনফ্লেমেশনের সমস্যা। তাই সার্ডিন মাছ পাতে রাখতে পারেন। অনেক উপকার পাবেন।


আরও পড়ুন- কোভিডের পর কি চিন্তায় ফেলছে ওবেসিটি ?