কলকাতা: কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চলেছে। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতে দিন দিন নিঃশব্দে বাসা বাঁধছে আরেকটি মহামারি। বিজ্ঞানীরা তাদের নাম দিয়েছেন ওবেসিটি মহামারি। অর্থাৎ অতিরিক্ত ওজনই নিঃশব্দে ত্রাস হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ল্যানসেটের এক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। সারা বিশ্বজুড়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্করাই শুধু নয়, বর্তমানে শিশুদের মধ্যেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওবেসিটির হার।
শিশু, কিশোররাও ওবেসিটির কবলে
১৯৯০ সালের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ২০২২ সালের তথ্যের। স্বাভাবিক ওজনের থেকে বেশি ওজন থাকলে তাকে ওবেসিটি বলা হয়। দেখা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে দেশে মোট সাকুল্যে ৪ লাখ শিশুর ওবেসিটি ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। গত ৩২ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৫ মিলিয়নের কোঠায়। অর্থাৎ গোটা দেশে ১ কোটি আড়াই লাখ অপ্রাপ্তবয়স্ক ওবেসিটির কবলে। এর মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ৭৩ লাখ। মেয়েদের সংখ্যা ৫২ লাখ !
মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে ওবেসিটি
পুরুষদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের প্রবণতা বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ১৯৯০ সালে মাত্র ১১ লাখ এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে ২৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ২.৬ কোটি পুরুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। অন্যদিকে মহিলাদের মধ্যে ওবেসিটি বেড়েছে ১৮ গুণ। ১৯৯০ সালে ২.৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৪ লাখ মহিলা এই সমস্যায় ভুগতেন। বর্তমানে ৪৪ মিলিয়ন অর্থাৎ চার কোটি ৪০ লাখ মহিলাদের রয়েছে ওবেসিটির সমস্যা। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই ওবেসিটির হার বেশি।
ওবেসিটির পরিমাপ কী ?
বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই দিয়ে এটি মাপে। বিএমআই-এর পরিমাপ ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে থাকলে তা স্বাভাবিক। এর বেশি হলে তা ওবেসিটির লক্ষণ। (আপনার বিএমআই মাপুন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে।)
ওবেসিটির মূল কারণ
- সারাদিন বসে বসে কাজ
- খুব বেশি চলাফেরা না করা
- যত ক্যালোরি খাবার খাচ্ছি, ততটা খরচ হচ্ছে না। ফলে শরীরে জমছে মেদ।
- পরিমাপের বেশি খাওয়ার প্রবণতা।
- নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করা।
- ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতা।
ওবেসিটি থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় ?
- অভ্যাসে বদল আনা প্রথমেই জরুরি।
- ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড খাওয়া বন্ধ করা দরকার।
- পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতে হবে।
- বডি মাস ইনডেক্স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন - Health Tips: চটপটে, চাঙ্গা থাকবেন গোটা দিন, সকালে ২০ মিনিট করুন এই ৪ ব্যায়াম