কলকাতা : ভিটিলিগো ( Vitiligo ) যেন এক আতঙ্ক। মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সাদা দাগ। ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের মতো। কিন্তু শ্বেতির শুরুটা ধরতে পারলে, হয়ত চিকিৎসায় সাড়া মিলতে পারে। 



এটি এমন এক অসুখ, যা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মনে ঢুকে পড়ে নেতিবাচক মনোভাব। ত্বকের এই অসুখ অনেকটাই নিরায়ম সম্ভব, কিন্তু সময়ে চিকিৎসা শুরু দরকার। ভিটিলিগো বা শ্বেতি রোগ ত্বকের যেকোনো অংশে হতে পারে।  মুখ, ঘাড়, হাত এবং ত্বকের ভাঁজে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে এর শুরু হতে পারে  ঠোঁট, আঙুলের ডগা থেকে। কোনও কোনো ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে থেকেও শুরু হতে পারে শ্বেতি।


ভিটিলিগো সব ধরনের ত্বকে হতে পারে। গায়ের রঙ যেমনই হোক না কেন, শ্বেতি হতে পারে। তবে হ্যাঁ, যাঁদের স্কিন টোন একটু ডার্ক, তাঁদের ক্ষেত্রে শ্বেতি বেশি দৃশ্যমান হয়।  এই রোগ কিভাবে শুরু হয় তা অনুমান করা কঠিন। তবে হ্যাঁ উপসর্গ দেখামাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, দেরি না করেই। 


ভিটিলিগো বা শ্বেতি কী?


ভিটিলিগোর কারণে ত্বকে হালকা সাদা বা গোলাপি-সাদা ছোপ দেখা যায়। মূলত এর কারণ মেলানিনের অভাব। মেলানিন হল ত্বকে থাকা একটি র়ঞ্জক। শ্বেতি রোগটি প্রাণঘাতী বা ছোঁয়াচে নয়। তাই শ্বেতি কারও হলে তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পরিবর্তে, তাঁর কাছে যান। সহানুভূতিশীত ব্যবহার করুন। কোনও কোনও গবেষণা বলছে, ত্বকের এই সমস্যা থাইরয়েড আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।


এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ



  • ভিটিলিগো সাধারণত মুখ, হাত, বাহু, পায়ে এবং পায়ে প্রথম দেখা যায়।

  • ভ্রু এবং মুখের লোমের রঙ বদলে সোনালি হয়ে যায়। 

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি উপসর্গবিহীন এবং চুলকানি বা ব্যথার মতো কোনো উপসর্গ নেই।

  • থাইরয়েড এবং অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির সমস্যা থেকেও শ্বেতি হতে পারে। 


শ্বেতি চিনবেন কী করে 


ত্বক পরীক্ষা করার পরই, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ভিটিলিগো বা শ্বেতি সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন। প্যাচগুলি অন্য কোনও কারণ কি না তা আগে চিকিৎসকরা দেখে নেন। অনেক ক্ষেত্রে সোরিয়াসিস , এগজিমা থেকেও ত্বকে ছোপ দাগ হতে পারে। থাইরয়েড, ডায়াবেটিস মেলিটাস, ক্ষতিকারক রক্তাল্পতা, অ্যাডিসন ডিসিজ, অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা এই রোগগুলির সঙ্গেও ভিটিলিগোর সংযোগ আছে বলে কারও কারও অভিমত। যদিও ভিটিলিগোর কোনো প্রতিকার নেই, সঠিক চিকিৎসা শ্বেতির ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াটিকে থামাতে বা ধীর করে দিতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ত্বকের কোনও কোনও অংশে প্রকৃত রঙ ফিরিয়ে আনতে পারে


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।