কলকাতা : বেশি করে জল খান। শরীরকে ডিহাইড্রেটেড হতে দেবেন না। এ কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু যথেচ্ছ পরিমাণে জল কি খাওয়া যায় ? কোন কোন ক্ষেত্রে জলও খেতে হবে পরিমিত হারে ? কোন ক্ষেত্রে বেশি জল খাওয়া বিপজ্জনক ? চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন,
- মনে রাখতে হবে -
- হার্টের সমস্যা হলে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ মেনে জল খান।
- কিডনির অসুখের রোগীরা নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ মেনে জল খান।
- লিভারের সমস্যায় পরামর্শ নিন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্টের।
- খেয়াল রাখবেন জল মানে কিন্তু শুধুমাত্র পানীয় জলটুকু নয়, চা-কফি-সরবত এমনকী ডালের জলটুকুও ফ্লুইড ইনটেকের হিসেবের মধ্যে রাখতে হবে।
- এছাড়াও পায়ে গোদ হলে বা শিরা-উপশিরায় কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা হলেও জলের পরিমান নির্দিষ্ট করতে হয়।
- ওজন কমাতে চাইলে জল বেশি খেতেই হবে।
আরও পড়ুন :
ভারতেও নতুন BF.7 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত করোনা রোগী, কী কী উপসর্গ নতুন এই রূপের?
যকৃত বা লিভারের অসুখে জল কম খেতে হবে কেন ?
যকৃতের বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, যাতে দেখা যায়, শরীর থেকে জল বের করে দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। দেখা যায়, তাতে পেটের মধ্যে জল জমে। যাকে উদরি (ascites) বলা হয়ে থাকে চলিত কথায়। পেট ফুলে যায়। সেই ক্ষেত্রেও জল খেতে হবে মেপেই। ত্বক-চুল বা হজমের স্বার্থে বেশি বেশি করে জল খাওয়া যাবে না।
কিডনির অসুখে জল কম খেতে হবে কেন ?
কিডনির শরীরের রেচন পদার্থ তৈরি করে। যখন সেই সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তখন কিডনি নির্দিষ্ট পরিমাণে জল প্রস্রাব আকারে বের করে দিতে পারে না। তখন বাইরে থেক জল খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
হার্টের অসুখে জল কম খেতে হবে কেন ?
আমাদের শরীরে গড়ে ৫ লিটার মতো রক্ত রয়েছে। এখন এই রক্তের ৯০ শতাংশই জল। মানুষের হৃদপিণ্ডে অসংখ্য শিরা-ধমনী থাকে। হার্টের কোনও অসুখ হলে সেই শিরা বা ধমনীগুলিতে ব্লকেজ হয়। ফলে হার্টের সংকোচন-প্রসারন ক্ষমতা হ্রাস পায়। তখন বেশি পরিমাণে রক্ত হৃদপিণ্ড পাম্প করতে পারে না। তাই সেক্ষেত্রে জল খাওয়ার পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
তাই নিয়ম করে জল খাওয়াটাও যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই উচিত শরীর বুঝে জল খাওয়া। মনে রাখতে হবে সব শরীর কিন্তু একই রকম নয়। সব শরীরের ক্ষেত্রে নিয়মও একই নয়।