ভাবতে পারেন আপনার পাশে মশা ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়াচ্ছে, অথচ কামড়াচ্ছে না ! অবাক লাগছে? ভাবছেন এমন সুখ কি আর মানুষের কপালে আছে? সত্যিই ছিল জানেন? জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে , আগে মশা মানুষের রক্ত খেতই না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মশার স্বভাবেও নানা পরিবর্তন এসেছে। মনে করা হয় যে শুধুমাত্র স্ত্রী মশাই রক্ত চুষে খায়, পুরুষ মশা নয়।
আসলে, মশার রক্ত পান করার স্বভাবের এই পরিবর্তন হাজার হাজার বছর ধরে ঘটেছে। বিশেষজ্ঞ দের কারো কারো দাবি, যেখানে জল জমে সেখানে মশার বংশবৃদ্ধিতে কোনো সমস্যা হয় না, তবে জলের অভাব অনুভব করা মাত্রই তারা মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর রক্ত শোষণ করা শুরু করে। অর্থাৎ মনে করা হয়, মশা জলের অভাব মেটানোর চেষ্টা করে রক্ত টেনে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন, সমস্ত প্রজাতির মশা রক্ত পান করে না, বরং তাদের অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য অন্যান্য জিনিসও খায়। যেমন এডিস ইজিপ্টাই। আগে নাকি অভ্যেস একদম অন্য রকম ছিল ! মানুষের রক্ত খেত না তারা।
সব মশাই রক্ত খায় না। যেসব জায়গায় প্রচণ্ড গরম থাকে বা এলাকা শুষ্ক থাকে, সেখানে সাধারণত জলের অভাব থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মশার বংশবৃদ্ধির জন্য আর্দ্রতা প্রয়োজন। এই আর্দ্রতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে, মশারা মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর রক্ত পান করতে শুরু করে।