জেনিভা: করোনা অতিমারীর মাঝে চোখরাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্স (monkey pox)। তার দাপট এখন এতটাই যে 'গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি' (global health emergency) জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (world health organization)। এটিই 'হু'-র সর্বোচ্চ সতর্কতাবিধি। গত কাল প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণাটি করেন 'হু'-র ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস। এর অর্থ একটাই। আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক অনুদানও দিতে পারে 'হু'। 



সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নয়...


তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য কিছুও শোনা যাচ্ছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি, মাঙ্কিপক্সকে 'গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি' ঘোষণা করা হবে কিনা সে ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি। আলোচনায় বসলে কমিটি সদস্যদের মধ্যে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঘেব্রেইয়েসুস পরে জানান, ৯ জন সদস্য সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ও ছজন সিদ্ধান্তের পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ডিরেক্টর জেনারেলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়ে থাকে। এত দিন পর্যন্ত সংখ্য়াগরিষ্ঠের মতেই মতামত দিয়েছেন হু-প্রধান। কিন্তু এবার তিনি ব্যতিক্রমী। মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হার এবং তুলনায় টিকার অপ্রতুল জোগান, সবটা মাথায় রেখেই সম্ভবত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের বিরুদ্ধে গিয়েই  'গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি' জারির পক্ষেই মত দিয়েছেন ঘেব্রেইয়েসুস। 


কী পরিস্থিতি?


চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫ দেশে ১৬ হাজারেরও বেশি মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে। আফ্রিকায় ৫ টি মৃত্যুরও খবর মিলেছে। আক্রান্তের কাছাকাছি এলেই মূলত এই ভাইরাল সংক্রমণ ঘটে । সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গ, সঙ্গে ত্বকে জলভরা গোটা-- সংক্রমিতের দেহে এই উপসর্গগুলিই দেখা দেয়। আপাতত এই মাঙ্কিপক্স নিয়েই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করল হু। তবে ভাইরাসটির মধ্যে কোন রদবদল দেখা দিলে নতুন ভাবে ভাবনাচিন্তা করতে হবে, জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি। 


করোনার দাপট এখনও পুরোপুরি কমেনি। মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। এর মধ্যে মাঙ্কিপক্স নিয়ে 'হু'-র ঘোষণা চিন্তা বাড়াবে, আশঙ্কা নানা মহলে।    


আরও পড়ুন:উনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, আমি শিক্ষক, এটুকুই যোগাযোগ: মোনালিসা