Castor Oil: চুলের যত্ন (Hair Care) নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল ক্যাস্টর অয়েল (Castor Oil)। যেকোনও সাধারণ হেয়ার অয়েল বা চুলে মাখার তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারে আপনি। এছাড়াও হাল্কা গরম করে নিয়ে সরাসরি ক্যাস্টর অয়েলও ম্যাসাজ করতে পারেন চুলের লম্বা অংশ এবং মাথার তালু বা স্ক্যাল্পে। তবে এই তেল খুবই চিটচিটে ধরনের। তাই ক্যাস্টর অয়েল ম্যাসাজ করলে অন্তত দু'বার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। এবার জেনে নেওয়া যাক ক্যাস্টর অয়েল চুলের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কী কী ভাবে চুলের উপকার করে।
- ক্যাস্টর অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপকরণ আপনার চুল এবং স্ক্যাল্প আর্দ্র অর্থাৎ ময়শ্চারাইজড করতে সাহায্য করে।
- ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে রয়েছে ricinoleic। এই উপকরণের সাহায্যে মাথার তালুতে ভালভাবে রক্তসঞ্চালন হয় যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- মাথার তালু বা স্ক্যাল্পে হওয়া বিভিন্ন ইনফেকশন, ইচিং বা চুলকানি, খুশকি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে ক্যাস্টর অয়েল। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ রয়েছে এই তেলের মধ্যে।
- ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। এই দুই উপকরণ চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে। অর্থাৎ চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যায় না। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলের গঠন সুদৃঢ় করে। সপ্তাহে দু'দিন ক্যাস্টর অয়েল ম্যাসাজ করতেই পারেন।
কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম
কোঁকড়ানো চুল ভাল রাখার জন্য চুলে জট পড়তে দেওয়া যাবে না। তাই মোটা দাঁড় যুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন। ধৈর্য ধরে চুল আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নেওয়া প্রয়োজন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না একেবারেই। চুল শুকিয়ে নিয়ে তারপর জট ছাড়াতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল চুলে কোনও রকম ড্রায়ার বা হিটার ব্যবহার করবেন না চুল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি চুল স্ট্রেট করা বা চুলে রঙ করার ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। এছাড়াও চুল মুছে শুকিয়ে নেওয়ার জন্য নরম টাওয়েল বা গামছা ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত যত্ন না করলে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে বেশি সময় লাগবে না। অনেকেই শখ করে বড় চুল রাখেন। কিন্তু তারপর এই একঢাল চুলের সঠিক পরিচর্যা করতে না পেলে চুল কেটে ছোট করে ফেলেন, কার্যত বাধ্য হন। কারণ চুল পড়ার পাশাপাশি, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই সময় থাকতেই সতর্ক থাকুন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- সপরিবার বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয় অতি অবশ্যই নজরে রাখা প্রয়োজন, রইল তালিকা