কলকাতা: ওজন বাড়ছে? হজমের সমস্যা? ওষুধ খেয়েও কমছে না? চিন্তা নেই। রান্নাঘরে একটু উঁকি দিন। জিরে পাবেন। এই জিরেই আপনাকে মুক্তি দিতে পারে অনেক সমস্যা থেকে।
লেবু-জল থেকে গ্রিন টি অথবা মৌরি ভেজানো জল। সকালে উঠে খালি পেটে নানা ধরনের পানীয় পান করেন অনেকেই। কিন্তু সেই তালিকায় রাখতে পারেন আরও একটি জিনিস। জিরে ভেজানো জল। ছোট্ট এই দ্রব্যের অসংখ্য গুণাগুন। দেখে নিন কী কী উপকার পাবেন?
দূরে রাখবে রোগবালাই
জিরেতে পটাশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। প্রতিদিন জিরে ভেজানো জল খেলে দূরে থাকবে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণের সম্ভাবনাও।
প্রদাহ কমাতে জুড়ি নেই
প্রদাহরোধী উপকরণ রয়েছে জিরেতে। থাইমোকুইনন (thymoquinone) যৌগ রয়েছে জিরেতে। যকৃৎ (liver) সংক্রান্ত সমস্যা ঠেকাতে খুবই কার্যকরী জিরে। পেটের যন্ত্রণা কমাতেও কাজ করে জিরে।
ভুলবেন হজমের সমস্যা
পেটের যাবতীয় সমস্যা ঠেকাতে জুড়ি নেই জিরের। অনেকেরই হজমের সমস্যা থাকে। প্রতিদিন জিরে ভেজানো জল খেলে অনেকটাই মিটবে সেই সমস্যা। মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে জিরের জল। যার ফলেই সুবিধে মেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যায়। ক্যালোরি খরচ করতেও সাহায্য করে জিরে।
চকচকে ত্বক
ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ রুখতে জুরি নেই জিরের। ফলে রোজ জিরে ভেজানো জল খেলে মিটবে ত্বকের সমস্যাও। ব্রণ ও ফুসকুড়ি রুখতে কার্যকরী জিরের জল। বিভিন্ন দূষিত পদার্থের কারণে ত্বকজনিত নানা সমস্যা দেখা যায়। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে জিরে।
ভাল থাকবে চুল
চুল ভাল রাখতেও জুড়ি নেই জিরের জলের। সুস্থ থাকে মাথার ত্বক। যার ফলে দূরে থাকে চুলে রোগবালাই। চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতেও সাহায্য করে জিরের জল।
কড়া জবাব ডায়াবিটিসকে
নিয়মিত জিরে ভেজানো জল খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যাদের মধুমেহ (diabetes) রয়েছে তাঁদের অবশ্যই জিরের জল খাওয়া উচিত। খাওয়ার ৩০ মিনিট পর জিরে ভেজানো জল খেলে লাগাম থাকবে সুগারে।
চিন্তা নেই অ্যানিমিয়ায়
রক্তাল্পতার (anaemia) সমস্যাও মিটবে জিরে ভেজানো জলে। জিরেতে আয়রন ভরপুর। যার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। কমে ক্লান্তিও।
তাহলে দেরি নয়। দ্রুত শুরু করে দিন সকালে জিরের রুটিন।