Winter Hair Care: বাতাসে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে রুক্ষ, শুষ্ক ভাব। আসছে শীতের মরসুম (WInter Season)। আর তাই সঠিকভাবে চুলের যত্ন (Hair Care Tips) করা প্রয়োজন। বিশেষ করে রুক্ষ, শুষ্ক চুলের জন্য শীতের মরসুমে একটু বেশিই খেয়াল রাখতে হয়। শীতের মরসুমে চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে মোলায়েম ভাব এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার মাস্ক। বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায় এই হেয়ার মাস্ক। সেক্ষেত্রে কী কী উপকরণ ব্যবহার করবেন, তা একটু জেনে নেওয়া যাক। মূলত চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব, ডগা ফেটে যাওয়া বা স্প্লিট এন্ডস, চুলের লালচে ভাব, মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়া বা ভঙ্গুর হওয়া অর্থাৎ হেয়ার ব্রেকেজ- এইসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে হেয়ার মাস্ক।
কীভাবে বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করবেন, কী কী উপকরণ ব্যবহার করবেন
বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ইয়োগার্ট বা টক দই, পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে তা লাগিয়ে নিন চুলের লম্বা অংশ বা লেংথ পোরশন এবং স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে। ৩০ মিনিট মাথায় এই হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে রাখার পর তা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু' থেকে তিনবার এই হেয়ার মাক্স ব্যবহার করতে পারেন।
ডিমের কুসুম, মধু এবং অলিভ অয়েল মিশিয়েও বাড়িতে সহজে তৈরি করে নেওয়া যায় হেয়ার মাস্ক। একটা ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চামচ মধু এবং এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে এই হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যায়। চুলে এবং স্ক্যাল্পে এই মিশ্রণ ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে রাখার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
ইয়োগার্ট, কলা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক। ইয়োগার্টের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন টক দই। এছাড়াও পাকা কলা ব্যবহার করতে হবে এই হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য। চুলে পুষ্টি জোগাতেও এই হেয়ার মাস্ক সাহায্য করবে।
চুলের জন্য বাড়িতে মাস্ক তৈরি করবেন আর সেখানে নারকেল তেলের ব্যবহার থাকবে না তা তো হতেই পারে না। তাই নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক।
ত্বকের মতো চুলের পরিচর্যাতেও দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁচা দুধের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় হেয়ার মাস্ক।
যাঁদের চুল খুবই রুক্ষ এবং শুষ্ক প্রকৃতির তাঁদের শীতের মরসুমে কয়েকটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে চুল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য হেয়ার ড্রায়ার বা ব্লোয়ার ব্যবহার না করাই মঙ্গলের।
এছাড়াও চুলে শ্যাম্পু করলে অবশ্যই ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। চুলে তেল ম্যাসাজ করাও জরুরি। এর পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার সিরাম।