World AIDS Vaccine Day: বিশ্ব এইডস টিকা দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর ১৮ মে । এইডস রোগের টিকা নিয়ে সচেতনতা প্রচার করতে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। এইডস রোগের ভাইরাস এইচআইভি ভাইরাস। যার পুরো নাম হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এর জেরেই প্রতি বছর এইডস রোগে আক্রান্ত হন বিশ্বের একটি বড় সংখ্যক মানুষ। প্রসঙ্গত, এই দিনটি সারা বিশ্ব জুড়ে টিকাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিতেও পালন করা হয়।
এইডস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট এইডস রোগ কতটা গুরুতর। সারা বিশ্বে ৩.৯ কোটি এইডস আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন বলে জানাচ্ছে হু। ২০২২ সালে এদের মধ্যে ১৫ লাখ আক্রান্তই ছিল শিশু ও কিশোর। অর্থাৎ বয়সের সীমা ০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। ওই একই বছরে এইডস রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬,৩০,০০০। এইচআইভি বা এইচআইভি সম্পর্কিত রোগের জেরেই তাদের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব এইডস টিকা দিবসের ইতিহাস
বিশ্ব এইডস টিকা দিবস শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৭ সালের ১৮ মে মেরিল্যান্ডের মরগ্যান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। তিনি বলেন, একটি সঠিক এইচআইভি টিকাই এইডস রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম। ওই দিনের ওই বক্তৃতার ভিত্তিতেই ১৮ মে বিশ্ব এইডস টিকা দিবস পালন শুরু হয়। শুরু হয়েছিল ঠিক তার পরের বছর থেকে।
এইডস রোগের টিকার হালহকিকত
প্রসঙ্গত, বিশ্ব এইডস টিকা দিবস ১৮ মে পালন করা হলেও এখনও এই রোগের কোনও টিকা নেই। তবে এই নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষণা চলছে। চেষ্টা চলছে টিকা আবিষ্কারের।
এইডস রোগের টিকা কেন নেওয়া জরুরি (Why HIV Vaccine Important) ?
এইডস রোগের টিকা নেওয়া জরুরি কারণ এটি রোগকে প্রতিহত করতে পারে। যাদের এইডস হওয়ার ঝুঁকি কম, তাদেরও এই টিকা নেওয়া উচিত। এতে একটি সম্ভাব্য রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রসঙ্গত, এইডস টিকা দিবস পালন করার উদ্দেশ্য রোগটি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা। পাশাপাশি রোগটির মোকাবিলায় টিকার গুরুত্ব স্পষ্ট করে মানুষকে বোঝানো।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - World Hypertension Day: উচ্চ রক্তচাপ মানে কিডনিরও বিপদ, সুস্থ থাকার উপায় ?