কলকাতা: সারা বিশ্ব জুড়ে আজ ১৬ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। মূলত বিশ্বে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যেই এই খাদ্য দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুধা কমানোর লক্ষ্যে সচেতনতা ছড়ানো, খাদ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই পালিত হয়ে থাকে সারা বিশ্ব (World Food Day) জুড়ে। এই বিশেষ দিনের প্রতিপাদ্য থিম 'জলই জীবন, জলই খাদ্য, কাউকেই পিছনে ফেলে রাখে না'। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই বিশেষ দিনের প্রতিপাদ্যও জলকে ঘিরেই রাখা হয়েছিল। পৃথিবীর বেশিরভাগই জল, আমাদের শরীরের ৫০ শতাংশই হল জল। আমাদের খাদ্য তৈরি করে জল (World Food Day 2024) এবং জীবনধারণ সহজ সরল করে। কিন্তু এই মূল্যবান সম্পদের ভাণ্ডারও অফুরান নয়, ফলে জল সংরক্ষণের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। আমরা যা খাই এবং আমাদের খাবার যা থেকে তৈরি হয়, সবেতেই জলের বিশেষ অবদান আছে।
১৯৭৯ সালে প্রথম চালু হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলিই এই বিশেষ দিনটি পালন করা শুরু করে তাদের ২০তম সাধারণ বৈঠক থেকে। আর ১৯৮১ সাল থেকেই ১৬ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্ব জুড়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির হার কমাতে এই দিনের গুরুত্ব অনেক। খাদ্য সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা জারি রাখতে সুস্থ স্বাভাবিক কৃষি সংস্কৃতি বজায় রাখতে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
এই বিশেষ দিনের মূল লক্ষ্য হল সকল মানুষ যাতে যথাযথ পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার পায় এবং খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় আসতে পারে। এই বার্তা প্রচারের জন্যই পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিভিন্নভাবে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। ইতালির রোমে ফুড অ্যান্ড এগিকালচার অর্গানাইজেশনের সদর দফতরে বিপুল সমারোহে একটি অনুষ্ঠান হয় এই দিন। খাদ্য সরবরাহের দিকে লক্ষ্য রেখে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের কিছু সংগঠন এবং কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সিম্পোসিয়া, কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি আয়োজন করে থাকে যেগুলির মূল বিষয় আবর্তিত হয় খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ও নিরাপত্তার উপর।
ভারতে কিছু কিছু পরিবার খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করে থাকে দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের। কিছু কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় একটি স্কিম রয়েছে যেখানে কর্মীদের বেতনের কিছু অংশ কাটা যায় যারা ফুড ব্যাঙ্কে নিয়মিত দান করতে চান, তাদের থেকে সংগৃহীত অর্থ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ত্রাণ দিতে কাজে লাগবে।