প্রতি বছর ২৯শে সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস (World Heart Day) পালিত হয়।  হার্টের অসুখ এখন যেভাবে ২০র কোঠা থেকেই ঘায়েল করছে, তাতে হার্টের অসুখের বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধির গুরুত্ব আরও বাড়ছে। সেই উপলক্ষ্যেই এই দিবসটির গুরুত্বও বাড়ছে।   হৃদরোগ এবং হৃদরোগের কারণে মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়াই এই দিনটির লক্ষ।  চিকিৎসকদের কথায়  হাই ব্লাড প্রেসার মহামারীর থেকে কম কিছু নয় ! শুধু বয়স্করা নয়, কমবয়সীরাও রীতিমতো ঘায়েল হচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়। আর তার ফলস্বরূপ কমবয়সেই হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক ! হার্ট সুস্থ রাখার তাগিদ যে শুধু বেশি বয়সেই প্রয়োজন তাই নয়, এখন মাঝ কুড়িতেই ধরা পড়ছে হার্টের নানারকম সমস্যা।   


বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি


হার্টের সমস্যার (heart problem) জানান দেয় অনেকসময়ই  বুকে ব্যথার মাধ্যমে।  তবে শুধু বুকে ব্যথা নয়, শরীরের অন্যত্র ব্যথাও হার্ট অ্যাটাকের আগে অ্যালার্ট হিসেবে দেখা দিতে পারে। তবে হার্ট অ্যাটাক মানেই কি শুরু থেকে বুকে ব্যথা হবে ? নাহ্, তেমনটা নাও হতে পারে। এক্কেবারে অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হৃদযন্ত্রে বাসা বাঁধতে পারে রোগ। যেমন হাতে যন্ত্রণা, ঘাড়ে যন্ত্রনা, পিঠে যন্ত্রণা ইত্যাদি। (health) 


 শ্বাসকষ্ট


হঠাৎ শ্বাসকষ্টও হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। শুধু দৌড়াদৌড়ি করলে নয়, হালকা কাজকর্ম করলে বা বিশ্রামে থাকলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মনে হতে পারে শ্বাসরোধ হয়ে আসছে। একটু অক্সিজেন পেলে ভাল হত, এমন বোধ হতে পারে।  


 ক্লান্তি


হার্টের অবস্থা ভাল নয়, তার জানান দিতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তিও। অকারণে ক্লান্তিও হার্টের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে।  


 অনিয়মিত হৃদস্পন্দন


আপনার হৃৎযন্ত্রে যদি ধড়ফড়ানি অনুভব হয়, সতর্ক থাকুন।  রোগী বোধ করতে পারেন, হার্টের বিট যেন স্বাভাবিক হারে পড়ছে না।  অ্যারিথমিয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, গুরুতর হৃদরোগের ইঙ্গিত হতে পারে।


হাত পা ফোলা


পা, গোড়ালি, পা বা পেট ফুলে যাওয়াও হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ হতে পারে।  শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফ্লুিড জমা হতে শুরু করে, যখন হার্ট ঠিক ভাবে পাম্প হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত পৌঁছে দিতে পারে না। 


মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া


মস্তিষ্কে অপর্যাপ্ত রক্ত ​​​​সরবরাহও কার্ডিয়াক অসুখের  উপসর্গ হতে পারে। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, মাথা হালকা বোধ হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া , হার্টের অসুখের লক্ষণ হয়ে থাকতে পারে।


অতিরিক্ত ঘাম


অত্যধিক ঘাম একটি কার্ডিয়াক অবস্থার লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক, বিশেষ করে যখন এটি বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো অন্যান্য উপসর্গের সাথে মিলিত হয়।


বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া


হার্ট অ্যাটাক বা অন্যান্য কার্ডিয়াক সমস্যার কারও কারণ, বিশেষ করে মহিলাদের, বমি বমি ভাব অনুভব হতে পারে। এই উপসর্গটি প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় বা হজম সংক্রান্ত সমস্যা সংক্রান্ত ভেবে নেওয়া হয়। 


শরীরের উপরের অংশে ব্যথা


বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে, উপরের পেট, বাহু, কাঁধ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা বা অস্বস্তি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। 


ওজন বাড়া


হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়াও হৃদযন্ত্রের অসুখের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। 


এই কোনও উপসর্গগুলিকেই কিন্তু এড়িয়ে গেলে হবে না। প্রতিটিই হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। বুকে ব্যথা হৃদরোগের উপসর্গ ঠিকই, কিন্তু শরীরের অন্য জায়গায় ব্যথাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে ।