কলকাতা : লিভার দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এর কাজ হল দেহে খাবারের সঙ্গে প্রবেশ করা  অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলিকে বর্জ্যে রূপান্তরিত করা। যে বর্জ্য পরে মলের সঙ্গে বের হয়ে যায়। লিভারের উপরই নির্ভর করে দেহ থেকে বর্জ্যপদার্থ ঠিক মতো বের হওয়ার বিষয়টি। লিভার ঠিক মতো কাজ না করলে এই প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়। বুধবার ১৯ এপ্রিল বিশ্ব লিভার দিবস। লিভার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাই এই দিনের উদ্দেশ্য।


অনিয়মিত জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়া লিভারের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ফ্যাটি লিভার ইদানীং কালে একটি বড় সমস্যা। পরবর্তীতে এটি  সিরোসিস অফ লিভার ডেকে আনতে পারে।  লিভারের ক্ষতি তো করেই। এমনকি লিভার ক্যান্সারের মতো খারাপ অসুখও ঘটতে পারে অবহেলায়। এমন পরিস্থিতিতে লিভারকে সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ জীবনযাপন খুবই জরুরি। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ টি খাবার লিভারের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। 


১. আখের রস


আখের রস লিভারের জন্য খুবই উপকারী বলা হয়। এটি লিভার ডিটক্স করতে কাজ করে। আখের রস লিভারে উৎপন্ন টক্সিন দূর করতে কাজ করে। সাধারণত জন্ডিস রোগীকে আখের রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 


২. মুলো


মুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন-সি, অ্যান্থোসায়ানিন এবং সালফোরাফেন পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি  লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও কাজ করে। মুলোর মধ্যে সালফোরাফেনও থাকে। এটি লিভারের জন্য খুবই উপকারী। 









বিটরুটের রস লিভারের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি লিভারকে ফিট রাখতে কাজ করে। এতে নাইট্রেট এবং বিটালাইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট  পাওয়া যায়। লিভারের পাশাপাশি এটি হার্টকেও সুস্থ রাখে। 


৪. হলুদ 

হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে বিবেচিত হয়। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে এটি খুবই উপকারী।  দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারলে খুবই উপকার। এতে অনেক ধরনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-বায়োঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এগুলো লিভার ডিটক্স করতে কাজ করে। তাই হলুদ রাখুন প্রতিদিন আপনার ডায়েটে।             


৫. আখরোট 

আখরোটে অ্যামিনো অ্যাসিড বেশি পাওয়া যায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে লিভারকে সুস্থ করতে কাজ করে। এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারকে সুস্থ রাখে।