বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস 2022: ফুসফুসের ক্যান্সার আমাদের দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কর্কটরোগের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে চতুর্থ সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার হল ফুসফুসের ক্যান্সার।  তবে জীবনধারায় কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন করে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এই ব্যাধি। যদিও এই ক্যান্সার থেকে বাঁচার কোনও নিশ্চিত উপায় নেই, ধূমপান ত্যাগ করা এই মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমানোর প্রথম পদক্ষেপ।


ধূমপান  একটি নীরব ঘাতক ।  প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুসের ক্যান্সারের  লক্ষণ প্রায় থাকেই না।  যখন সমস্যা বেশ বেড়ে যায়, তখনও উপসর্গগুলি সামনে আসে। 



  •  কাশির সময় রক্ত

  • শ্বাসকষ্ট

  • বুকে ব্যথা

  • অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস

  • হাড়ের ব্যথা
    এগুলি ফুসফুসের ক্যান্সারের কিছু লক্ষণীয় লক্ষণ।


চিকিৎসকরা বলছেন, সিগারেটের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ধূমপানত্যাগ করলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি গুরুত্বপূর্ণ হারে কমে যায়। 



  • এড়িয়ে চলতে হবে প্যাসিভ স্মাকিংও। অর্থাৎ অন্যের  ধূমপানের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া। এটিও সমান বিপজ্জনক। একে সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মোকিং বলা হয়। চেইন স্মোকারের আশেপাশে থাকাও এই রোগকে আপনার শরীরে আহ্বান জানাতে পারে। অন্য কেউ ধূমপান করলে তাদের থেকে দূরে থাকা খুব দরকার। মনে রাখতে হবে, যখন আপনি সেকেন্ড-হ্যান্ড ধোঁয়া শরীরে নিচ্ছেন, তখন আপনিও সিগারেট থেকে প্রচুর রাসায়নিক শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করছেন,  যা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

  • বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের অভ্যাস নেই, এমন ব্যক্তিদের সঙ্গ জরুরি। ধূমপায়ীদের সঙ্গে থাকলে এই অভ্যাস ছাড়া একেবারেই সহজ নয়। তাছাড়়া এমন জায়গায় যদি ঘনঘন যাওয়া যায়, যেখানে ধূমপান নিষিদ্ধ, তাহলে এই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া সহজ। এছাড়া ধূমপান সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও সহ যাবতীয় বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। মনের জোরও জরুরি।

  • দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ধূমপানের অভ্যাস থাকে। সকালে চা খাওয়ার পর, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর বা অফিসে কাজের ফাঁকে একবার করে ধূমপান করেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দিতে হলে নির্দিষ্ট সময়ে হাতে সিগারেট নেওয়া বন্ধ করতে হবে। তাহলেই এই অভ্যাস বন্ধ হয়ে যাবে।

  • যখনই ধূমপান করার ইচ্ছা হবে, তখন অন্য কোনও কাজে মন দিতে হবে। যেমন টিভি দেখা, গান শোনা, হাঁটতে যাওয়া বা কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা অথবা ফোনে কথা বলা। এভাবে মনকে অন্য দিকে চালিত করলে ধীরে ধীরে ধূমপানের অভ্যাস দূর হয়ে যাবে।

  • ধূমপানের অভ্যাস দূর করার জন্য মিন্ট মুখে রাখা যেতে পারে। এছাড়া নিকোটিন গামও পাওয়া যায়। তার ফলে ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া সম্ভব হয়।

  • সমস্যা গুরুতর হলে, সাহায্য নিতে হবে মনোবিদদেরও।