কলকাতা: আইসক্রিম খুব পছন্দ? এখন ধরুন, সেই আইসক্রিমই যদি হাত থেকে ফেলে দিতে হয়? তাও বর্ষবরণ উদযাপনের জন্য? একটু অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য এই রীতি অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে পালন করেন সুইৎজারল্যান্ডের বহু মানুষ। সে দেশের মানুষের বিশ্বাস, এতে সমৃদ্ধি আসে।শুধু  সুইৎজারল্যান্ড নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তেই বর্ষবরণের সঙ্গে এমন নানা ধরনের রীতিনীতি (Weird New Year Traditions Across Globe) জড়িয়ে রয়েছে। আর তো মোটে কয়েক ঘণ্টা বাকি। তার পর ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে যাবে। চলে আসবে নতুন বছর। তার আগে, একবার এই রীতিনীতির দিকে একঝলকে চোখ বোলানো যাক?


নানা রীতি...
বর্ষবরণ নিয়ে নানা জনের নানারকম পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু কলম্বিয়া-সহ লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশের বাসিন্দারা আবার এই সময়ে একটু অন্য রকম জিনিস করেন। সেখানে 'নিউ ইয়্যার' উদযাপনের অন্যতম অঙ্গ খালি স্যুটকেসের আশপাশে ঘুরঘুর করা। এতে নতুন বছরে বেড়ানোর সুযোগ বাড়ে, মনে করেন তাঁরা।
গ্রিসের ক্ষেত্রে আবার একাধিক মজার রেওয়াজ প্রচলিত। সাধারণত, মাঝরাতের আগেই বাড়ির সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে যিনি ঠিকঠাক ঘরে ঢুকতে পারবেন, তিনিই নতুন বছরে পরিবারে আশার আলো নিয়ে আসবেন বলে বিশ্বাস বাসিন্দাদের।
স্কটল্যান্ডের Edinburgh-র ক্ষেত্রে আবার তিন দিন ধরে বর্ষবরণের আনন্দ চলে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে উদযাপন শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক, সকলে মিলে মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেন। রাত বাড়তেই দুর্গের উপর, আকাশে আতসবাজির চোখধাঁধানো খেলা শুরু হয়। 
নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারের কথা অবশ্য অনেকেই জানেন। ১২টা হওয়ার ঠিক আগে নিউ ইয়র্কের কাতারে কাতারে মানুষ সেখানে জমায়েত হন। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর চেনা, কিন্তু অনন্য ছবি আলাদা পরিচিতি দিয়েছে টাইমস স্কোয়ারকে।
জাপানের ক্ষেত্রে আবার একটু অন্য রকম রীতির কথা জানা যায়। 'Hatsuhinode'  নামে ওই রীতি মেনে প্রত্যেককে নতুন বছর প্রথম সূর্যোদয় একসঙ্গে দেখার জন্য  বাড়িতে আমন্ত্রণ  জানানোর এই রীতি বহু দিন ধরে চালু রয়েছে জাপানে।
ব্রাজিল এবং চিলির মতো দেশের ক্ষেত্রে, বর্ষবরণের সমস্ত উদযাপনই সমুদ্র সৈকতে হয়ে থাকে। তবে রীতিনীতি এখানেও একটু আলাদা। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই ৭টি ঢেউ ডিঙিয়ে ৭ রকম প্রার্থনা করার দস্তুর চালু রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এবার একটু ইতালির দিকে তাকানো যাক? সেখানকার মানুষের বিশ্বাস, নতুন বছর মানে পুরনো সব কিছুকে ঝেড়ে ফেলা দরকার। তাই প্রতীকী হিসেবে রান্নার উপকরণ, যেমন ফ্রাইং প্যান, সসপ্যান থেকে শুরু করে সব কিছুই নতুন বছরে একবার 'Toss' করে নেন তাঁরা। মূলত নেপলসেই এই ধরনের রেওয়াজ চালু রয়েছে। 


সকলেই নিজের মতো করে স্বাগত জানান নতুন বছরকে। যাঁর রীতি, তাঁর কাছে তা বড় চেনা। বাকিদের ক্ষেত্রে সে হলই একটু অদ্ভুত। তাতে কী? আনন্দ ও উদযাপনের মেজাজটা তো সকলেরই এক। 



আরও পড়ুন:গ্ল্যামার দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে ধরলেন স্টিয়ারিং, মিস ইংল্যান্ড ফাইনালিস্ট এখন লরির চালক