নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক মঙ্গলবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আয়ুর্বেদ এবং যোগাভ্যাসের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে জাতীয় ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে আয়ুর্বেদ এবং যোগ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা যত বাড়বে কোভিড-১৯ এর মোকাবিলা তত ভাল ভাবে সম্ভব। একথা মাথায় রেখেই করোনা রুখতে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও আয়ুষ মন্ত্রক।


সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি


মাস্ক পরুন, হাত স্যানিটাইজ করুন, পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন


জোয়ান ও পুদিনা গরম জলে ফেলে তার ভাপ নিন


৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন


নিয়মিত শরীরচর্চা করুন


এক চিমটি হলুদ এবং নুন গরম জল মিশিয়ে গার্গল করুন। ত্রিফলা দিয়ে সিদ্ধ জল বা যষ্ঠিমধু দিয়েও গার্গল করা যেতে পারে।


খাদ্যাভ্যাস


আদা, ধনে বা তুলসী বা জিরে ইত্যাদি হালকা গরম জলে দিয়ে পান করুন বা সেদ্ধ করে ব্যবহার করুন।


টাটকা, উষ্ণ, সুষম খাবার খান।


দিনে একবার আয়ুশ কড়া বা কথ পান করুন।


রাতে আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো ১৫০ মিলি গরম দুধে মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলুন।


উপসর্গ মোকাবিলা/নির্দিষ্ট পদক্ষেপ


প্রোটোকলে দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী, চবনপ্রাশের সঙ্গে অশ্বগন্ধা বা গুড়ুচি ঘনাবটি মিশিয়ে সঠিক পরিমাপে খেলে কোভিড-১৯ রোগীর নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।


মন্ত্রকের প্রদত্ত প্রোটোকল অনুসারে, যোগ ব্যায়াম শ্বাসকষ্ট এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা বাড়াতে পারে, চাপ এবং উদ্বেগ হ্রাস করতে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।


যোগব্যায়াম


দিনে ৪৫ মিনিটের যোগব্যায়ামের পরামর্শ দেয় যা কোভিড প্রতিরোধের জন্য প্রাণায়াম করা উচিত। প্রোটোকল অনুসারে, কোভিড -১৯ এর প্রাথমিক প্রতিরোধের যোগের মধ্যে রয়েছে:


হাল্কা অভ্যাস: ঘাড়, কাঁধের ব্যায়াম, ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীতে কোমর ঘোরানো, হাঁটু ভাঁজ করা।


স্থায়ী আসন: পদ্ম-হস্তাসন, অর্ধ চক্রাসন, ত্রিকোণাসন


বসে যে সব আসন: অর্ধ-উস্ট্রাসন, শশকাসন, উত্থান মান্ডুকাসন, সিমহাসন, মার্জারিয়াসন, বক্রাসন


পূর্ণ শয্যায়: মকরাসন, ভুজঙ্গাসন


এ ছাড়া যে সব আসন করা উচিত সেতুবন্ধাসন, উত্তরণপদাসন, পবনমুক্তাসন, মারকাতাসন, শবাসন।


ক্রিয়া: ভাত নেটি (২ রাউন্ড), কপালভাটি (২ টি রাউন্ড, ৩০ টি স্ট্রোক প্রতিটি)


প্রাণায়ম: নাড়ি শোধন (৫ রাউন্ড), সূর্য বন্দনা প্রাণায়ম (৫ টি রাউন্ড), উজ্জয়ী প্রাণায়ম (৫ রাউন্ড), ভ্রমরী প্রাণায়ম (৫ রাউন্ড)।


মন্ত্রকের পরামর্শ আরও বলা হয়েছে, যাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, ফুসফুসের কার্যকরিতা বাড়ানোর জন্যও নিয়মিত যোগাভ্যাসক করবেন।