Zion Clark Life Story With No Legs: পাঁচ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ২০ মিটার হেঁটে দেখালেন বছর ছাব্বিশের আমেরিকান যুবক জিয়ন ক্লার্ক। পা দিয়ে নয়, হাত দিয়ে হেঁটেই এই দুঃসাধ্য সাধন করলেন তিনি। হাত দিয়ে এই রেকর্ড গড়ার অবশ্য কারণ রয়েছে। জিয়ন (Zion Clark) একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। কউডাল রিগ্রেসন সিনড্রোম নামের ওই ব্যাধিতে তাঁকে দুটো পা-ই হারাতে হয়েছে। আপাতত শরীরের উপরের অংশাই তাঁর ভরসা। কিন্তু তাতে মোটেই দুঃখিত নন জিয়ন। কারণ যেটুটু তাঁর কাছে রয়েছে, সেটুকুই অনেক বলে মনে করেন তিনি। এবার সেই সম্পদের শক্তিতেই গিনিস বুকে নিজের নাম তুললেন জিয়ন। 


জিয়নের চোখে তাঁর মা


গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ভিডিয়োতে জিয়ন তাঁর মায়ের প্রসঙ্গে জানান বেশ কিছু  কথা। তাঁর কথায়, মা তাঁকে একটি জীবন দিয়েছেন। সেই জীবনটি তিনি ব্যর্থ হতে দিতে চান না। তাঁর শারীরিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এই নারী তাঁকে ছেড়ে চলে যাননি। জিয়নর কথায়, অনেকেই তাঁকে ‘প্রবলেম চাইল্ড’ বলতেন। তাঁর দায়িত্ব নিলে সমস্যায় পড়তে হবে এমনটাও বোঝাতেন তাঁর মাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও কথাই কানে তোলেননি জিয়নের মা। জিয়ন জানান, মায়ের সেই সংকল্পকেই সত্যি করতে চান নিজের জীবন দিয়ে। 


জিয়নের জীবনের মন্ত্র


আমেরিকার একজন বিখ্যাত রেসলার জিয়ন। ঝুলিতে রয়েছে বেশ কিছু পুরস্কার। কোনও বিশেষ ক্যাটেগরিতে নয়, সবার সঙ্গে লড়েই সেই খেতাবগুলি জিতেছেন তিনি। এ হেন জিয়ন জিম করেন নিয়মিত। যেটুকু শরীর তার সম্পদ, তাকে যত্নে রাখেন জিয়ন। জিমেরই একটা দৃশ্যে দেখা রায়, জিয়নের পিঠে একটি ট্যাটু। যাতে লেখা, ‘নো এক্সকিউসেস’ অর্থাৎ কোনও অজুহাত নয়।


কউডাল রিগ্রেসন সিনড্রোম আদতে কী ?


কউডাল রিগ্রেসন সিনড্রোম গর্ভাবস্থায় শিশুদের হয়ে থাকে। এই রোগে শিশুদের মেরুদণ্ড ঠিকমতো তৈরি হয় না। একটি অংশের পর মেরুদণ্ড আর তৈরি হয় না। জিয়নের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। যে কারণে কোমর থেকে নিচের অংশটি নেই তাঁর। সাধারণের মতো তাঁর জীবন নয় বলেই জিয়ন নিজেকে অসাধারণ করে তুলেছেন।


আরও পড়ুন - Indian Pin Code Fact:ভারতের পিনকোড কেন সবসময় ৬ অঙ্কের ? আসল কারণটি জানেন ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।