নয়াদিল্লি: এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের (OTT Platform) রমরমা। প্রায়ই নতুন কন্টেন্ট (new content) আসে, তাবড় তারকাদের কাজ করতে দেখা যায় ওটিটিতে। এবার কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) প্রযোজনায় তৈরি ছবি 'টিকু ওয়েডস শেরু' (Tiku Weds Sheru Review) মুক্তি পেল অ্যামাজন প্রাইমে (Amazon Prime)। ছবিতে অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির (Nawazuddin Siddiqui) মতো বড় অভিনেতা, সঙ্গে অভনীত কৌর (Avneet Kaur)। এই ছবি খুব দারুণও নয়, আবার একেবারে খারাপও নয়। মোটামুটি হলেও এই ছবি কেন দেখা যায়, জানা যাক।


এক ঝলকে 'টিকু ওয়েডস শেরু' ছবির গল্প


মুম্বইয়ের বাসিন্দা জুনিয়র আর্টিস্ট শেরু ও ভোপালের টিকুর গল্প বলে এই ছবি। কিছুতেই ভাল কাজ পায় না শেরু। ফলে রোজগারের জন্য নারী পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ে সে। ছবি তৈরির নেশায় টাকা ধার নেয় সে, এবং বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে। এমন সময় তাঁর কাছে ভোপাল থেকে টিকুর সম্বন্ধ আসে। এই বিয়ে সারলে শেরু ১০ লক্ষ টাকাও পাবে। ফলে বিয়েতে রাজি হয়ে যায় সে। অন্যদিকে টিকু যেনতেন প্রকারে মুম্বই আসতে চায় এবং নায়িকা হতে চায়। মুম্বইয়ে তার এক প্রেমিকও রয়েছে। টিকুও বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু মুম্বই এসে সে জানতে পারে যে তার প্রেমিক তাকে ঠকিয়েছে, এবং সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এরপর কী হয় এই বিয়ের পরিণতি? সেই উত্তর জানতে অবশ্য খরচ করতে হবে ঘণ্টা দুয়েকের থেকেও কিছু কম সময়। 


কার কেমন অভিনয়?


শেরুর চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি একেবারে নিখুঁত। তাঁর অনবদ্য অভিনয় আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে যে তিনি জুনিয়র আর্টিস্টই। নওয়াজের আদব কায়দাই আলাদা। আর নওয়াজউদ্দিনের অনুরাগীদের তো তাঁর কাজ সবসময়েই ভাল লাগে। অভনীত কৌরও টিকুর চরিত্রে ভালই। দেখতেও তাঁকে বেশ সুন্দর লেগেছে। এছাড়া জাকির হোসেন, মুকেশ এস ভট্ট ও বিপিন শর্মাও নিজেদের চরিত্রে ঠিকঠাক।


কেমন হয়েছে 'টিকু ওয়েডস শেরু'?


এই ছবি একবার দেখার জন্য ঠিক আছে, যাকে বলে 'ওয়ান টাইম ওয়াচ'। এটি এমন একটি ছবি যার থেকে আপনি বিশেষ আশা করবেনও না, আর সেই আশায় জলও ঢালবে না। কিছু দৃশ্য সত্যিই প্রশংসনীয়। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি কোনও কোনও দৃশ্যে নিজের গুণে দর্শককে হাসাবেন। কিছু দৃশ্যে নজর কেড়েছেন অভনীত কৌরও। আবার তেমনই কিছু দৃশ্য আচমকা, অপ্রয়োজনীয়, বিরক্তিকরও মনে হতে পারে। ছবির গল্পের আন্দাজ শুরুতেই করে ফেলতে পারবেন। আর সেখানেই এই ছবির খামতি। কিন্তু গোটা ছবিটাকে নওয়াজউদ্দিন নিজের বলে টেনে নিয়ে গেছেন।


পরিচালনা কেমন?


এই ছবির পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন সাই কবীর। অমিত তিওয়ারির সঙ্গে এই ছবির চিত্রনাট্যও পরিচালকেরই লেখা। ছবির গল্প ও পরিচালনা দুটোই বেশ দুর্বল। ছবিতে আবেগের খামতি বিপুল। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মতো অভিনেতাকে আরও ভাল করে ব্যবহার করা যেত। 


সব মিলিয়ে এই ছবি সময় কাটানোর জন্য ঠিকঠাক। আর যদি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ফ্যান হন, তাহলে মজা লাগবে ভালই। দেখে ফেলুন।