নয়াদিল্লি: 'সজনী শিন্ডে কা ভাইরাল ভিডিও' (Sajini Shinde Ka Viral Video) ছবিতে একটি দৃশ্য আছে যেখানে স্কুলে এক শিক্ষিকার ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) চালিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সেখানে রাখা সরস্বতীর (Goddess Saraswati) একটি মূর্তিকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে, যেন ভগবান এসব জিনিস না দেখেন। বাকি মানুষ তো যা খুশি দেখে ফেলতে পারেন কিন্তু ঈশ্বর তো সবই দেখেন। এই ছবির এটাই সারমর্ম। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। প্রত্যেকদিনই কিছু না কিছু ভাইরাল হতে থাকে। সেগুলো অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ডও করেন। একদিকে যখন মজা করে অনেকেই সেই ভিডিও দেখেন, তখন অন্যদিকে সেই ভিডিও কারও জীবন নরক বানিয়ে তোলে। কখনও তাঁদের নিজের জীবন শেষ করার মতো চূড়ান্ত পর্যায়েও ঠেলে দেয়। এখনের সমাজের সঙ্গে এই ছবি খুব ভাল সামঞ্জস্য বজায় রেখেছে। একাধিক দুর্দান্ত বার্তা দেয় এই ছবি কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ধরনের ভাল ছবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যুইটারে ট্রেন্ড হয়েই থেকে যায়, দর্শক পর্যন্ত পৌঁছয় না। 


ছবির গল্প


এই গল্প সজনী নামের এক শিক্ষিকার যিনি এক মারাঠি পরিবার থেকে আসেন। আইটি সংস্থায় কর্মরত এক ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা। অর্থাৎ এক সহজ সরল সাধারণ জীবন। এই শিক্ষিকা স্কুল থেকে এক ট্রিপে যান এবং সেখানে নেশার ঘোরে কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে তিনি নাচে মেতে ওঠেন। সেই সময়ে তাঁর ভিডিও তৈরি হয় এবং তা ভাইরাল হয়ে যায় চোখের নিমেষে। ভাইরাল হতেই সেই ভিডিও আলোড়ন ফেলে দেয় এবং সজনী হঠাৎই উধাও হয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে যে তাহলে কি সজনী আত্মহত্যা করেছেন, কোথায় সজনী এবং এটা কি কারও কোনও ষড়যন্ত্র? কীভাবে একটা ভাইরাল ভিডিও তাঁর জীবন বদলে দেয় সেই কাহিনিই বলেছে এই ছবি এবং তা বেশ আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে দেখানো হয়েছে। 


ছবিটি কেমন হয়েছে?


অনেকেই হয়তো এই ছবির নামও শোনেননি কারণ এতে কোনও বড় তারকা নেই, কিন্তু এটাই বোধ হয় এই ছবির সবচেয়ে বড় গুণ। এই ছবিতে তিন নায়িকা রয়েছেন এবং তাঁরাই এই ছবির প্রাণ। এই ছবি খুব দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলে। চরিত্রদের সম্পর্কে বলার জন্য বিশেষ সময় নেওয়া হয়নি এবং খুব দ্রুতই এই ছবি মূল বক্তব্যে এসে পৌঁছয়। এরপর কী হতে চলেছে, সেই আকর্ষণ টানটান ধরে রাখতে পেরেছে। এই ছবি একইসঙ্গে একাধিক জরুরি বার্তা দেয়। ছবির একটি সংলাপে শোনা যায়, 'মহিলারা আধার কার্ড নন, যে যেখানে খুশি তাঁদের ব্যবহার করা যাবে', আর এটাই এই ছবির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যে মহিলাদের সঙ্গে যেমন খুশি ব্যবহার করা যায় না। 


আরও পড়ুন: Tejas Film Review: দুর্বল চিত্রনাট্য, কঙ্গনার অভিনয়ও প্রশ্নের মুখে পড়ল 'তেজস'-এ


অভিনয় 


সজনীর চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রী রাধিকা মদনকে। এককথায় নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত তাঁর অভিনয়। সজনীর সঙ্গে দর্শককে একাত্ম করে দিতে পারেন রাধিকা এবং সজনীর যন্ত্রণার সঙ্গে মিশতে পারবেন দর্শক। নিমরত কৌর একজন তদন্তকারী অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। সিনেমায় রসবোধ এনেছেন তিনি কিন্তু তা একেবারেই নিজের ঢঙে। ভাগ্যশ্রীর অভিনয় দর্শককে চমকে দিতে পারে। 


পরিচালনা


মিখিল মুসালে পরিচালিত এই ছবিতে তাঁর দখল খুব পরিষ্কার বোঝা যাবে। কাকে দিয়ে কী করাতে হবে, কাকে কতটা স্ক্রিন স্পেস দিতে হবে, গল্পটাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, প্রত্যেকটা জিনিস খুব দক্ষতার সঙ্গে নিখুঁতভাবে করেছেন মিখিল। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial