চণ্ডীগড়: গোপন ভিডিও (private video) ফাঁসের (leak) ঘটনায় এক ২৩ বছরের তরুণকে (youth) গ্রেফতার (arrest) করল হিমাচল প্রদেশ পুলিশ (himachal pradesh police)। একই ঘটনায় সিমলা থেকে ৩১ বছরের এক যুবককে আটক করেছে পঞ্জাব পুলিশ (punjab police)। যে দ্রুততা ও সংবেদনশীলতা নিয়ে সিমলার এসপি ও তাঁর টিম অভিযুক্তকে ধরেছে, ট্যুইটারে তার প্রশংসা করেন হিমাচল প্রদেশের ডিজিপি। উল্লেখ্য, দিনের শুরুতেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, একাধিক নয়, একজন তরুণীরই গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্ভবত ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন।
তোলপাড় চণ্ডীগড়...
সূত্রের খবর, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার রাত থেকে বিক্ষোভ শুরু হলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন পঞ্জাব পুলিশের এডিজি গুরপ্রীত দেও এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পরে মোহালির এসএসপি জানান, একাধিক পড়ুয়ার গোপন ভিডিও সংক্রান্ত 'গুজব' ছড়িয়ে পড়াতেই ওই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ঘটনা হল, কার্যত একই দাবি করেছিলেন চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্য়ালয় (Chandigarh University) কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর আরএস বাওয়া সঙ্গে আরও বলেছিলেন, সাত ছাত্রী আত্মহত্যার খবরটিও ভিত্তিহীন। কোনও ছাত্রীকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়নি। তাঁর সংযোজন, একাধিক ছাত্রীর প্রায় ৬০টি এমএমএস পাওয়া গেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তদন্তে কোনও ছাত্রীর কাছে এরকম কোনও ভিডিও পাওয়া যায়নি। তবে, এক ছাত্রী ব্যক্তিগত ভিডিও করে প্রেমিকের সঙ্গে তা শেয়ার করেছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে যা জানা গেল...
অভিযোগ ওঠে, এক ছাত্রী ওই বিশ্বিবিদ্যালয়ের হস্টেলের তাঁর সহপাঠীদের ভিডিও করে হিমাচল প্রদেশের সিমলার এক ব্যক্তির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেই ব্যক্তি আবার ইন্টারনেটে তার এমএমএস ক্লিপ আপলোড করে। কয়েকজন ছাত্রী সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের স্নানের ভিডিও দেখে চমকে ওঠেন ! তা আবার অনলাইনে ঘোরাঘুরি করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে এক ছাত্রী তাঁর স্নানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর ছড়ায়। তবে এ ধরনের কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করে পুলিশ। তবে শুধু ওই ছাত্রীই নয়, আরও কয়েকজন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর ছড়ায়। চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ সম্পর্কিত এক অফিসার বলেন, কেউ আত্মহত্যা করেননি। শুধুমাত্র একজন মূর্ছা গিয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। ঘটনার কথা সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে সিমলা থেকে ধৃত ২৩ বছরের ওই তরুণকে পঞ্জাব পুুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আদতে রোহরুর বাসিন্দা। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানান, ওই তরুণের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।