জয়ন্ত পাল ও হিন্দোল দে, দমদম: দক্ষিণ দমদমে (south dumdum) পুজোর (durgapuja) ব্যানার (banner) লাগানো ঘিরে ধুন্ধুমার (problem), পুজো ঘিরে তৈরি অনিশ্চয়তা (uncertainty)! অভিযোগ, দুর্গাপুজোর ব্যানারে তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) নাম থাকায় হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা (miscreants)। এমসি গার্ডেন রোডের জনকল্যাণ সমিতির ক্লাবের দরজায় তালা। ক্লাব খুলে পুজোর সামগ্রী বার করে দিয়ে দরজায় তালা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আঙুল প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর পালের অনুগামীদের দিকে। ঘটনাস্থলে আসেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকান্ত সেনশর্মা।
কী ঘটেছিল?
দক্ষিণ দমদম পুরসভার এম সি গার্ডেন রোডের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনকল্য়াণ সমিতি ক্লাবের মহিলা সদস্যরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরেই দুর্গাপুজো করছেন। অভিযোগ, সেই পুজো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক জন অপরিচিত এদিন বেলা ১১টা নাগাদ এসে ক্লাবের ভিতর থেকে সব চেয়ার, আসবাবপত্র বের করে দেয়। শুধু তাই নয়, পুজোর কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্রও ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার পর ক্লাবের দরজায় তারা তালা লাগিয়ে দিয়ে চলে যায়। পুজো যাতে না হয়, সেই মর্মে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। ইতিমধ্যে নাগেরবাজার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কাউন্সিলর সুকান্ত সেনশর্মা এসে পৌঁছলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ঘটনায় জড়িতদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেন কাউন্সিলর। তার পর অবশ্য এলাকায় ধর্নায় বসেন মহিলা সদস্যরা। তাঁদের দাবি একটাই, অবিলম্বে প্রশাসনের তরফ থেকে এই দরজা খুলে দিতে হবে। একই আর্জি জানানো হয়েছে কাউন্সিলরের কাছেও। বিক্ষোভকারীদের এক জন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'স্থানীয় কাউন্সিলর আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু আমাদের ক্লাবের দরজা যতক্ষণ পর্যন্ত খুলে না দেওয়া হচ্ছে, আমাদের জিনিসপত্র যত ক্ষণ পর্যন্ত ভিতরে না ঢোকানো হচ্ছে তত ক্ষণ ধর্না চলবে।' এদিন বিকেলেই তাঁদের একটি পুজো সংক্রান্ত বৈঠক ছিল বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে আদৌ ক্লাবে দুর্গাপুজো হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় স্থানীয়রা।
অভিযোগের তির...
ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রবীর পালের দিকে যে অভিযোগের আঙুল উঠছে, তার সত্যতাও যাচাই করা হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে খবর। তা হলে হঠাৎ এমন কাণ্ড ঘটাল কারা? উত্তর খুঁজছে দক্ষিণ দমদম।
আরও পড়ুন:নবান্ন অভিযানে আহত কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাক্ষাৎ বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষকের